সেই সময় দোতলার একটি অফিসে ছ’জন কর্মী কাজ করছিলেন। বারান্দার একাংশ ভেঙে পড়ায় তাঁরা সিঁড়ির কাছেও যেতে পারেননি। রীতিমতো আতঙ্কে চিৎকার শুরু করেন তাঁরা। এদিকে নিচে প্রায় চল্লিশটি দোকানে সেই সময় ক্রেতাদের ভিড়। যে অংশে বারান্দা ভেঙে পড়ে, ঠিক তার নিচে রয়েছে তিনটি দোকান। দোকানগুলো তখন খোলা। এক দোকানের মালিক জানিয়েছেন, কপাল জোরে সকলেই প্রাণে বাঁচলেন। দোকানের সামনেই কর্মীরা কাজ করেন। কিন্তু সেই সময় সকলেই দোকানের ভিতরে ছিলেন। তাঁরা হঠাৎ দেখলেন উপরের অংশ ভেঙে পড়ল। আরও এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, বিল্ডিংয়ের নিচেই কাজ করছিলেন তিনি। জোর শব্দ করে ভেঙে পড়ল একাংশ। সেই সময় উপরে ছ’জন ছিলেন।
advertisement
দমকলে ফোন করে খবর দেওয়া হলে কর্মীরা এসে ল্যাডার ব্যবহার করে ছ’জনকে উদ্ধার করেছেন। দমকলের সেন্ট্রাল ডিভিশনের এক অফিসার জানিয়েছেন, এখনও ভেঙে যাওয়া অংশের কিছুটা জায়গা বিপজ্জনক ভাবে ঝুলে রয়েছে। অনেক পুরনো বাড়ি। বিপদ নিয়েই দোকান চলছে। যদিও বিল্ডিংয়ের মালিক জানিয়েছেন, কিছুদিন আগেই ছাদ মেরামতির কাজ হয়েছে। বর্ষার জন্য অন্যান্য কাজ চলছে ধীর গতিতে। ইতিমধ্যে দমকলের তরফে পুরসভাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে আসে বড় বাজার থানার পুলিসও। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, বিপজ্জনক বাড়ির মধ্যে এত দোকান, এত লোকের সমাগম প্রতিদিন কেন। কারও নজরে এল না কেন? ব্যবসায়ীদের একাংশের অভিযোগ, হার্ডওয়ার সামগ্রীর দোকান অধিকাংশ। ভারী ভারী সামগ্রী ফেলা হয়,।ওজন নেওয়ার ক্ষমতাও হারাচ্ছে ওই বিল্ডিং। তবে যে অংশ ভেঙে পড়েছে তা পুলিসের তরফে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে। পুরসভার ছাড়পত্র দেওয়ার পর ফের খোলার অনুমতি দেওয়া হবে বলে পুলিস সূত্রে খবর।