TRENDING:

পাশের রাজ্য থেকে ঢুকবে না ‘বিষ’ বাতাস...তৈরি হচ্ছে ‘দেওয়াল’! এ এক এমন অভিনব কাজ, আগে হয়নি দেশে

Last Updated:

পরিবেশ ও জলবায়ুর সুরক্ষায় আশার আলো৷ WBPCB-এর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “এই প্রকল্প শুধু দূষণ রোধ নয়, পরিবেশ ও জলবায়ুর স্থিতিশীলতা বজায় রাখার দিকেও বড় পদক্ষেপ।” একইসঙ্গে এতে জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে সহিষ্ণুতা তৈরির পথও প্রশস্ত হবে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কলকাতা, প্রীতি সাহা: বায়ু দূষণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বড় উদ্যোগ নিল পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ (WBPCB) ও রাজ্য বন দফতর। রাজ্যের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে গড়ে তোলা হচ্ছে সবুজ জৈবপ্রাচীর। বর্ষার শুরুতেই ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়ায় শুরু হয়েছে বৃক্ষরোপণ। পরবর্তীকালে এই কর্মসূচি সম্প্রসারিত হবে বর্ধমান, বাঁকুড়া ও বীরভূমে। মোট ৮০০ কিলোমিটার জুড়ে তৈরি হবে এই ‘বায়ো-শিল্ড’। ‘স্থানীয় গাছ, স্থানীয় মানুষ’ প্রকল্পে ব্যবহৃত হচ্ছে সম্পূর্ণ স্থানীয় প্রজাতির উদ্ভিদ। এর ফলে শুধু গাছ লাগানোই নয়, বাড়বে পরিবেশগত ভারসাম্য। পাশাপাশি, গ্রামীণ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে, কারণ এই প্রকল্পে স্থানীয় বাসিন্দাদের সক্রিয়ভাবে যুক্ত করা হচ্ছে।
প্রতীকী ছবি, AI Genarated
প্রতীকী ছবি, AI Genarated
advertisement

দূষণের উৎস খুঁজে পেয়েছে WBPCB ও IIT দিল্লি৷ গবেষণায় উঠে এসেছে, ঝাড়খণ্ড, বিহার ও উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা বাতাস পশ্চিমবঙ্গে দূষণ বাড়াচ্ছে। যানবাহনের ধোঁয়াও বড় কারণ। বিশেষ করে বাঁকুড়া ও দক্ষিণ দিনাজপুরের কিছু অংশে দূষণের মাত্রা তুলনামূলক বেশি। এই জৈবপ্রাচীর সেই দিক থেকে প্রতিরোধের ঢাল হিসেবে কাজ করবে।

আরও পড়ুন: ‘যা ভাগ…,’ ধমক দিয়ে ক্লাসে পাঠিয়ে দিয়েছিল টিচার, তারপরেই ছাদের নীচে চাপা পড়ে গেল ছোট্ট প্রাণগুলো

advertisement

পরিবেশ ও জলবায়ুর সুরক্ষায় আশার আলো৷ WBPCB-এর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “এই প্রকল্প শুধু দূষণ রোধ নয়, পরিবেশ ও জলবায়ুর স্থিতিশীলতা বজায় রাখার দিকেও বড় পদক্ষেপ।” একইসঙ্গে এতে জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে সহিষ্ণুতা তৈরির পথও প্রশস্ত হবে।

পরিকল্পনা সফল হলে রাজ্যজুড়ে আরও বিস্তার৷ এই মুহূর্তে পরীক্ষামূলকভাবে কয়েকটি জেলায় শুরু হলেও, প্রকল্প সফল হলে রাজ্যের অন্যান্য সীমান্তবর্তী এলাকাতেও তা প্রসারিত হবে বলে সূত্রের খবর। প্রকৃতি বাঁচাতে এই ‘সবুজ প্রাচীর’ কতটা কার্যকর হয়, তা এখন সময়ই বলবে। তবে পরিবেশ রক্ষায় এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিচ্ছে গোটা রাজ্যবাসীকে।

advertisement

আরও পড়ুন: ওড়িশা, বিহার, গুজরাত, হরিয়াণা…একাধিক রাজ‍্যে বাংলাদেশী সন্দেহে বিপাকে বাঙালিরা! সরাসরি জানান পুলিশকে, জেনে নিন নম্বর

পরিবেশবিদ সাথী নন্দী চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সরকার এবং বন দফতরের উদ্যোগে দূষণ রোধে বায়ু শিল্ড তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ লাগুয়া বর্ডার অঞ্চলে গাছ লাগিয়ে এই শিল্ড বা প্রাচীর তৈরি করা হবে। পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। একেবারে গাছ দিয়ে চীনের প্রাচীরের মতো ঢেকে দেওয়া হবে।। অনন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আঞ্চলিকভাবে যে দূষণ হচ্ছে তা কমানোর জন্যই এই উদ্যোগ। এটা সফল করতে পারলে আগামী দিনে দূষণ কমানো যাবে। ঘনঘন বাজ পড়াও আটকানো যাবে। ২০২৩ সাল থেকে এই পরিকল্পনা শুরু হয়। মাঝে বনদপ্তরের সঙ্গে পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের কিছু সমস্যা চলায় প্রজেক্টটা আটকে ছিল। তবে ২০২৫ কিছু এলাকায় গাছ লাগানো শুরু হয়ে গেছে।’’

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
পাশের রাজ্য থেকে ঢুকবে না ‘বিষ’ বাতাস...তৈরি হচ্ছে ‘দেওয়াল’! এ এক এমন অভিনব কাজ, আগে হয়নি দেশে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল