দূষণের উৎস খুঁজে পেয়েছে WBPCB ও IIT দিল্লি৷ গবেষণায় উঠে এসেছে, ঝাড়খণ্ড, বিহার ও উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা বাতাস পশ্চিমবঙ্গে দূষণ বাড়াচ্ছে। যানবাহনের ধোঁয়াও বড় কারণ। বিশেষ করে বাঁকুড়া ও দক্ষিণ দিনাজপুরের কিছু অংশে দূষণের মাত্রা তুলনামূলক বেশি। এই জৈবপ্রাচীর সেই দিক থেকে প্রতিরোধের ঢাল হিসেবে কাজ করবে।
advertisement
পরিবেশ ও জলবায়ুর সুরক্ষায় আশার আলো৷ WBPCB-এর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “এই প্রকল্প শুধু দূষণ রোধ নয়, পরিবেশ ও জলবায়ুর স্থিতিশীলতা বজায় রাখার দিকেও বড় পদক্ষেপ।” একইসঙ্গে এতে জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে সহিষ্ণুতা তৈরির পথও প্রশস্ত হবে।
পরিকল্পনা সফল হলে রাজ্যজুড়ে আরও বিস্তার৷ এই মুহূর্তে পরীক্ষামূলকভাবে কয়েকটি জেলায় শুরু হলেও, প্রকল্প সফল হলে রাজ্যের অন্যান্য সীমান্তবর্তী এলাকাতেও তা প্রসারিত হবে বলে সূত্রের খবর। প্রকৃতি বাঁচাতে এই ‘সবুজ প্রাচীর’ কতটা কার্যকর হয়, তা এখন সময়ই বলবে। তবে পরিবেশ রক্ষায় এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিচ্ছে গোটা রাজ্যবাসীকে।
পরিবেশবিদ সাথী নন্দী চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সরকার এবং বন দফতরের উদ্যোগে দূষণ রোধে বায়ু শিল্ড তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ লাগুয়া বর্ডার অঞ্চলে গাছ লাগিয়ে এই শিল্ড বা প্রাচীর তৈরি করা হবে। পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। একেবারে গাছ দিয়ে চীনের প্রাচীরের মতো ঢেকে দেওয়া হবে।। অনন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আঞ্চলিকভাবে যে দূষণ হচ্ছে তা কমানোর জন্যই এই উদ্যোগ। এটা সফল করতে পারলে আগামী দিনে দূষণ কমানো যাবে। ঘনঘন বাজ পড়াও আটকানো যাবে। ২০২৩ সাল থেকে এই পরিকল্পনা শুরু হয়। মাঝে বনদপ্তরের সঙ্গে পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের কিছু সমস্যা চলায় প্রজেক্টটা আটকে ছিল। তবে ২০২৫ কিছু এলাকায় গাছ লাগানো শুরু হয়ে গেছে।’’
