এ দিন সকাল দশটা থেকে সরকারি দফতরে কাজ শুরু হওয়ার পর নবান্নে অন্তত কর্মীদের প্রবেশের লম্বা লাইন চোখে পড়েছে৷ রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হলেও এ দিন নবান্নে কর্মীদের উপস্থিতির হার রয়েছে ৯০ শতাংশের বেশি৷ নবান্নে আজ আইডি কার্ড ছাড়া কোনও সরকারি কর্মীকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না৷ অর্থাৎ, সরকারি কর্মচারীদের ঢোকার সময় পরিচয় পত্র দেখাতে হচ্ছে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিকদের। অশান্তির আশঙ্কায় আজ নবান্নের বিভিন্ন গেটে এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন সরকারি কর্মচারীকে দেখাতে হচ্ছে পরিচয় পত্র। তার পরই মিলছে নবান্ন ঢোকার অনুমতি। তবে আজ অন্যান্য দফতরের কোনও সরকারি কর্মী আপাতত নবান্নে ঢুকবেন না। শুধুমাত্র নবান্নে যাঁরা কর্মরত রয়েছেন, তাঁদেরই শুধুমাত্র আজ প্রবেশের অনুমতি রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: নবান্নে ঢুকতে নতুন নিয়ম, ধর্মঘটের দিন ৪ বার উপস্থিতি-রিপোর্ট চাইল সরকার! তুমুল আলোড়ন
ধর্মঘটে অংশ নিয়ে আজ অফিস কামাই করলে কর্মজীবন থেকে একদিন বাদ দেওয়ার মতো কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাজ্য সরকার৷ জরুরি দু একটি কারণ ছাড়া আজ ছুটিও নিতে পারবেন না সরকারি কর্মচারীরা৷ সরকারের এই কড়া মনোভাবের পরেও ধর্মঘটের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন সরকারি কর্মচারীদের বিভিন্ন সংগঠনের যৌথ মঞ্চ৷
আরও পড়ুন: জেরায় বাঙালি অফিসারের পর আদালতেও অনুব্রতর 'বং-কানেকশন'! আজ কেষ্টর সওয়ালেও বিরাট চমক!
তবে নবান্নে কর্মীদের উপস্থিতির হার ভাল হলেও জেলায় জেলায় ছবিটা অন্যরকম ছিল৷ বিধাননগরেও ময়ুখ ভবনে বিভিন্ন সরকারি দফতর এ দিন অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেকটাই ফাঁকা ছিল৷ বিকাশ ভবনেও বিভিন্ন সরকারি দফতরে চুক্তি ভিত্তিক কর্মীদেরই সংখ্যা ছিল বেশি৷ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও বিভিন্ন বিভাগ বন্ধ ছিল৷ মালদহ, ঝাড়গ্রামের মতো বিভিন্ন জেলায় অফিস টাইম শুরু হওয়ার পরেও রাস্তায় সমবেত হয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন স্কুল শিক্ষক থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরকারি কর্মচারীরা৷
সরকারি কর্মীদের ধর্মঘট ছাড়াও এ দিন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ছাত্র সংগঠন ডিএসও৷ পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, কোচবিহারের মতো বিভিন্ন জেলায় একাধিক স্কুল নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও খোলেনি বলে অভিযোগ৷ আসেননি স্কুল শিক্ষকরা৷ অনেক জায়গায় খোলেনি কলেজের গেটও। কলেজের গেট খোলাকে কেন্দ্র করে মেদিনীপুর কলেজে ডিএসও এবং টিএমসিপি-র মধ্যে বচসা, হাতাহাতির ঘটনা ঘটে৷ ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে সরকারি কর্মচারী, স্কুল শিক্ষকদের সঙ্গে শাসক দলের কর্মী সমর্থকদের বচসা, গন্ডগোলেরও খবর মিলেছে৷ কোচবিহারের মাথাভাঙায় ধর্মঘটের সমর্থক একজন সরকারি কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে৷