ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নে স্থানীয় বাসিন্দাদের বোঝাবে কমিটি। ছাপানো হচ্ছে মাস্টার প্ল্যানের সুবিধার লিফলেটও। গ্রাম থেকে শহর বাড়ি বাড়ি লিফলেট নিয়ে যাবেন কমিটির সদস্যরা। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে আপাতত দুটি প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে রাজ্যকে।
advertisement
প্রশ্ন ১) চন্দ্রেশ্বর খাল কাটা হলে, সেই জলে কি ভাসবে দাসপুর-১ ব্লক?
প্রশ্ন ২) জমির দাম কেমন পাওয়া যাবে?
সূত্রের খবর, গত রবিবার ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে হওয়া বৈঠকে এই দুটি বিষয়ে সব চেয়ে বেশি প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে প্রশাসনকে। তাই এই সব প্রশ্নের উত্তর দিতেই গ্রামে গ্রামে বা শহরের নানা ওয়ার্ডে লিফলেট নিয়ে যাবেন কমিটির সদস্যরা।
রাজ্য সেচ দফতর সূত্রে খবর, প্রায় ১০ হাজার কৃষক পরিবারের থেকে ১০৫ একর জমি কেনা হবে ৷ চাষীদের বর্তমান বাজারমূল্যের চেয়ে দুই থেকে আড়াই গুণ বেশি দাম দিয়ে জমি কেনা হবে। বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানে সংযুক্ত হতে চলেছে একাধিক পাম্প হাউজ ও স্লুইস গেট, রেগুলেটর-সহ।
পাম্প হাউজ কোথায় কোথায় হবে? নারায়ণী খালের উপরে একটা। দুধের বাঁধের উপর একটা।রুপনারায়ণের আউটফলের উপর একটা।
স্লুইসগেট কোথায় কোথায় হবে?
চন্দ্রেশ্বর খাল – রেগুলেটর-সহ স্লুইস গেট। কেটিয়া খাল ও শিলাবতী নদীর সংযোগে – রেগুলেটর সহ স্লুইস গেট। কাকি ও কোশী নদীর সংযোগে – রেগুলেটর সহ স্লুইস গেট। দাসপুর-২ ব্লকে রুপনারায়ণের আউটফলের জায়গায় রেগুলেটর-সহ স্লুইস গেট। দাসপুর-১ ব্লকে শিলাবতীর জল যখন চন্দ্রেশ্বরে পড়বে সেখানে রেগুলেটর-সহ স্লুইস গেট। এছাড়া চন্দ্রেশ্বর খালের ৫.৮ কিমি-র উপরে আরও ১৯ স্লুইস গেট হবে।
ইতিমধ্যেই দফায় দফায় বৈঠক সারছেন সেচ দফতরের আধিকারিকরা। গত রবিবার সাংসদ-মন্ত্রী-সহ একাধিক বিধায়করা মিটিং করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন কমিটি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। তারাও কাজ শুরু করে দিয়েছেন। নির্বিঘ্নে যাতে গোটা কাজ সম্পন্ন হয়ে যায়, সেদিকেই নজর সকলের।