ঘটনাস্থলের একদম পাশেই রয়েছে তেঁতুলবেড়িয়া অনুকূল চন্দ্র হাই স্কুল । ঘটনাস্থলে থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে এই স্কুল। সোমবার পরীক্ষা ছিল পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির ছাত্রদের। আগুনের জেরে পরীক্ষা স্থগিত করে দেওয়া হয়। পঞ্চম শ্রেণির শারীরশিক্ষা পরীক্ষা সোমবারের বদলে মঙ্গলবার হবে বলে জানান স্কুলের শিক্ষক। এছাড়া স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির লিখিত পরীক্ষা হবে আগামী ৮ ডিসেম্বর।
advertisement
আরও পড়ুন: শ্মশানে শবদেহ এলেই স্কুলে বাজে ছুটির ঘন্টা! অদ্ভুত নিয়ম গোঘাটে
এই স্কুলে প্রায় ৮৫০ জন পড়ুয়া রয়েছে। সকাল ১১টা থেকে সাড়ে চারটে পর্যন্ত স্কুল চলে। সোমবার পরীক্ষা ছিল। আগুনের জেরে আতঙ্কিত ছাত্র থেকে শিক্ষকরা সকলেই। এই স্কুলের ঠিক বিপরীতে রয়েছে অপর একটি স্কুল। ঘটনাস্থল থেকে ১০০ মিটারের মধ্যে দ্বিতীয় স্কুল। দ্বিতীয় স্কুলের নাম, তেঁতুলবেড়িয়া নিহারকনা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই স্কুলে ১১৯ জন পড়ুয়া পড়াশোনা করে। আগুনের জেরে আতঙ্ক ছড়ায় এই স্কুলেও।
আরও পড়ুন: প্রিয় মানুষরাই হয়ে উঠল শত্রু, ঘরে ঝুলছে গৃহবধূর দেহ! শ্বশুরবাড়িতে হাড়হিম কাণ্ড
কেজি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত এই স্কুল। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নিতা চক্রবর্তী জানান, 'সকালে আগুনের জেরে সবাই ভয়ে ছিলাম। তবে স্কুলে বাচ্চাদের অভিভাবকরা এসে পৌঁছে দেয়। যতক্ষণ না স্কুল শুরু হচ্ছে। শিক্ষকরা ছিলেন, বাচ্চারা নিরাপদে রয়েছে। কোনও ক্ষতি হয়নি। তবে আতঙ্ক রয়েছেই।' অভিভাবকদের দাবি, 'আমরা আতঙ্কিত, বাচ্চারা স্কুলে পড়ে। বাচ্চাদের প্রাণ নিয়ে আতঙ্কে আমরা সবাই। একদম স্কুলের কাছে এরকম কারখানা কী করে চলছে? বাচ্চাদের নিরাপত্তার দিকটা ভাবা দরকার। "
তৃতীয় স্কুলটি ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১৫০ মিটারের মধ্যে, একটি ইংরেজি মাধ্যমে স্কুল। গড়িয়া বিদ্যাভবন সাউথ স্কুল কেজি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত। কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের জেরে এই স্কুলের ছোট্ট বাচ্ছাদের অভিভাবকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অভিভাবকরা জানান, ছোট্ট বাচ্চারা স্কুলে পড়ে। আশপাশের এরকম কারখানায় আগুন লাগায় ভয় তো করবেই। ঘটনাস্থল থেকে ২০০ মিটারের মধ্যে আরও একটি স্কুল রয়েছে। সীতানাথ শিশু শিক্ষা মন্দির ( প্রাইমারি সেকশন নাম )। এটির আপার সেকশনের নাম ইস্ট গড়িয়া এডুকেশনাল আন্দোলন কালচারাল ইনস্টিটিউসান। এই স্কুলটি কেজি - ক্লাস ১০ পর্যন্ত।
এই স্কুলে প্রায় ১৮০০-র বেশি পড়ুয়া। স্কুলের কর্তৃপক্ষ জানায়, আগুন এখানে ছড়ায়নি। তবে আশঙ্কা তো থাকবেই। সব মিলিয়ে বলা যায় গড়িয়ার কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের জেরে আশপাশের চারটি স্কুলেই আতঙ্কিত পড়ুয়া থেকে শিক্ষক শিক্ষিকারা। ওয়াকিবহল মহলের প্রশ্ন, প্রায় দুশো মিটারের মধ্যে চার চারটি স্কুল। ঘিঞ্জি এলাকায় এই বাড়ির মধ্যে কারখানা কী করে চলছে? অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা আদৌ কি ছিল? পুলিশ আধিকারিকরা ও দমকল খতিয়ে দেখছে গোটা বিষয়টা।