আরও পড়ুন : প্রেক্ষাগৃহে বাড়ল দর্শক, আউটডোর শুটিংয়েও মিলল অনুমতি! রাজ্যে করোনা বিধিনিষেধে একগুচ্ছ ছাড়
ডিজেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পেট্রোলপাম্পের (Petrol Pump) কর্মীদের দাবি, বেশকিছু যাত্রী রয়েছেন, যাঁরা মনে করেন ডিজেলের দাম বৃদ্ধির জন্য দায়ী পেট্রোল পাম্প কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, গাড়িতে জ্বালানি ভরার সময় গ্রাহকরা নাকি রীতিমতো মারতে উদ্যত হয়, সঙ্গে গালিগালাজ তো আছেই। ডিজেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চারচাকার ছোট গাড়ি, ভাড়ার ট্যাক্সি থেকে আরম্ভ করে ছোট ম্যাটাডোর- এগুলোর মালিক থেকে ড্রাইভার, প্রত্যেকেই বিপদে পড়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন : ডায়পার পরে ঘোড়া ছুটছে কলকাতায়! শহর বাঁচাতে অভিনব পদক্ষেপ...
বিপ্লব নস্কর একজন ট্যাক্সিচালক। তিনি সোনারপুর এলাকার খুঁড়িগাছি এলাকায় থাকেন। তাঁর কথায়, সারাদিন ভাড়া খেটে মালিককে টাকা দিয়ে দুশো থেকে আড়াইশো টাকা থাকে। তার মধ্যেই চালাতে হয় সারাদিনের রাস্তায় চা, টিফিন থেকে আরম্ভ করে দুপুরের খাবার। তাঁর আক্ষেপ, তিনি একসঙ্গে ১০০০ টাকা জোগাড় করতে পারেননি বলে, গত তিন মাস যাবত রান্নার গ্যাস নিতে পারেননি। তাঁরও একই বক্তব্য, ডিজেল পেট্রোলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ট্যাক্সি ভাড়া বেশি চাইলেই যাত্রীরা প্রত্যাখ্যান করছেন। তার উপর শহরে বিভিন্ন কোম্পানির লাক্সারি ট্যাক্সি ঘুরে বেড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন : প্রশিক্ষণ ছাড়া আর ট্রেকিংয়ে গিয়ে মৃত্যু নয়, আয়কর আবাসনে তৈরি হল ইকো অ্যাডভেঞ্চার ক্যাম্প
পূর্ব ভারতের বেশ কিছু রাজ্যের মালপত্র দাম সম্পূর্ণ ওঠানামা নির্ভর করে বড়বাজারের পোস্তাবাজারের উপর। সেই পোস্তাবাজারের ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, ‘‘প্রতিদিনই পরিবহণ খরচ বাড়ার জন্য মালপত্রের দাম বাড়ছে। সেই মালপত্রের দাম বাড়ার পরিমাণ এতটাই ধীর গতিতে, যে মানুষ চট করে অনুভব করতে পারছেন না। যদি কেউ ভেবে দেখেন এক বছরের হিসাব, তাহলে বুঝবেন সাধারণ মানুষের ভাঁড়ারে কতটা টান পড়েছে।’’