জানা গিয়েছে, আসার পর বাগবাজারে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের স্টোরে যাবে ওই ভ্যাকসিন। সন্ধ্যার পর থেকেই বিভিন্ন জেলাগুলিতে তা বিতরনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। ভ্যাকসিন সংকটের কারণে ইতিমধ্যেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে তৎপরতা শুরু হয়েছে। কেন্দ্রের কাছে আরও ভ্যাকসিন দেওয়ার আর্জি জানানো হবে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই। চলতি সপ্তাহে রাজ্যে আরও ভ্যাকসিন ঢুকবে বলেই স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর।
advertisement
প্রসঙ্গত, সোমবারই রাজ্যে এসেছে ৩ লক্ষ কোভিশিল্ড। সোমবার বিকেলে এয়ার এশিয়ার বিমানে পৌঁছয় সেরামের তৈরি এই করোনা প্রতিষেধক। ফের বুধবার আসতে চলেছে ভ্যাকসিন।
রাজ্যে ঝড়ের গতিতে বাড়ছে করেনা সংক্রমণ। আর সংক্রমণ এত হারে বাড়ছে, যে সকলেই এখন ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। সেই জন্য চাহিদা বাড়ায় ও অন্যদিকে জোগান সেই অনুযায়ী না থাকায় শুরু হয়েছে সঙ্কট। কলকাতা থেকে জেলা, ভ্যাকসিন না পেয়ে চূড়ান্ত হয়রানির স্বীকার হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। গত কয়েকদিন ধরেই কলকাতার এনআরএস হাসপাতাল, শম্ভুনাথ পণ্ডিত, এনআরএস হাসপাতালের বাইরে দিনভর লাইন দেখা গিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কুপনের ব্যবস্থা করেছে এনআরএস কর্তৃপক্ষ। যাঁরা ভ্যাকসিন পাচ্ছেন না তাঁদের অন্য দিনে আসতে বলা হচ্ছে, সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে কুপন। জেলাগুলিতেও পরিস্থিতি প্রায় একই।
প্রসঙ্গত, ক্ষমতায় ফিরলে রাজ্যবাসীকে বিনামূল্যে করোনা টিকা দেওয়ার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই বাংলায় এক কোটির বেশি মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় এলে আগামী ৫ মে থেকে দেওয়া হবে বিনামূল্যে করোনার এই টিকা। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের থেকে আগাম এবং লিখিত অনুমতি নিয়ে প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে তিন কোটি করোনার ভ্যাকসিন জোগাড় করতে পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, সরকার যেমন এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিচ্ছে, বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেও একই পদক্ষেপ করার সুপারিশ দিচ্ছে প্রশাসন।