উল্টোডাঙ্গার হঠাৎ পল্লীতে আশঙ্কার কালো মেঘ। অমরনাথের দুর্যোগের পর আর টেলিফোনে যোগাযোগ করা যায়নি বিমল মন্ডল সহ চারজনের সঙ্গে। কলকাতা পুরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শান্তি রঞ্জন কুন্ডু এদিন বিমল মন্ডলের বাড়িতে যান। পরিবারের পাশে থেকে সকলের সন্ধানের জন্য প্রশাসন সবরকম সহায়তা করবে বলে আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন- বাড়ির সামনে বিপজ্জনক বিদ্যুৎ স্তম্ভ? এখনই জানান পুরসভাকে, রেখে দিন এই নম্বর
advertisement
উল্টোডাঙ্গার মানিকতলা হাউজিং এস্টেটের বাসিন্দা। দিব্যেন্দু রায় ৫ই জুলাই গিয়েছিলেন অমরনাথ যাত্রা। আজ সকালে পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে। সরকারি জায়গাতেই আছেন। খাওয়া-দাওয়ার কোনও অসুবিধা হচ্ছে না।
নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ২০ শে জুলাই দিব্যেন্দু রায় কলকাতায় ফিরে আসবেন। বন্ধু এবং আত্মীয়দের সঙ্গে তিনি গিয়েছেন অমরনাথ দর্শনে। পেশায় জীবন বীমা উপদেষ্টা দিব্যেন্দু রায়ের মেয়ে সুদিশা রায় জানান, সকালেই কাকা এবং আমি বাবার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেছি।
এই ওয়ার্ডে আরও একজন বিমল মন্ডল অমরনাথ যাত্রায় গিয়েছেন। তাঁর বাড়িতে ১০৩ নম্বর উল্টোডাঙ্গা মেইনরোডে খোঁজ নিয়েছেন কাউন্সিলর। বিমল মন্ডলসহ উল্টোডাঙ্গা মেইন রোড এর মনোজ মিত্র এবং গিরিশ পার্কের প্রদীপ সিং ও সন্দীপ সিং একসঙ্গে অমরনাথ বেড়াতে গিয়েছেন।
বিমল মন্ডল-এর গ্যারেজে এই তিনজন কাজ করেন। বিমান মণ্ডলের বাড়িতে কার্যত উদ্বেগের ছবি। বিমলের প্রতিবেশী বন্ধু সঞ্জয় মন্ডল বলেন, সকাল ছটা থেকে তাঁর সঙ্গে ভিডিও কলে কথা হয়েছিল অনেকক্ষণ। ওই এলাকার পরিস্থিতি এবং আবহাওয়া খুব বাজে বলে জানিয়েছিল বিমল। প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছিল। এক সময় আচমকাই মোবাইল সংযোগ কেটে যায়। তারপর থেকে বারবার যোগাযোগ করেও কোনও সংযোগ করা যায়নি।
আরও পড়ুন- অমরনাথে আটকে জলপাইগুড়ির ১২ পুণ্যার্থী, নবান্নে চালু করা হল হেল্পলাইন
বিমলের স্ত্রী জবা মন্ডল জানান, ২রা জুলাই গিয়েছিলেন বিমল মন্ডল সহ চারজন। গতকাল সকাল ছটা নাগাদ শেষ ভিডিও কলে কথা হয়েছে। তারপর থেকে আর ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না।