এরই মধ্যে একাধিক রুটের বাস বন্ধ হয়েছে। বিশেষ করে শিলিগুড়ি রুটে ভলভো (Volvo Bus) বন্ধ। বাকি রুটের বাসের সংখ্যা দিনে ৩০ থেকে কমে ৪ বা ৫ করে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের কথায়,"যাত্রীও খুব একটা হচ্ছে না। জ্বালানির দাম এতটাই বেশি হয়েছে যে ভাড়া না বাড়িয়ে আর উপায় ছিল না।" তবে সরকারি এসি বাসের সমস্ত রুটের ভাড়াই অপরিবর্তিত রয়েছে। সরকার যেখানে ভাড়া বাড়ানোর বিপক্ষে সেখানে কীভাবে বেসরকারি বাসে এত ভাড়া বাড়ানো হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন যাত্রীরা।
advertisement
আরও পড়ুন: হৃদয়ের শহরের জন্য মোদির কাছে আর্জি বাবুলের! TMC-র হয়েও একই গন্তব্য? জল্পনা...
যাত্রীদের বক্তব্য,"বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে অনেকেরই রোজগার কমেছে। তবে এক লাফে ১০০ টাকা করে ভাড়া বৃদ্ধি আমাদের উপর যথেষ্টই চাপ বাড়াচ্ছে। নিরুপায় হয়েই বাড়তি ভাড়া দিয়ে নিজেদের গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।" গণপরিবহন এখনও সম্পূর্ণ স্বাভাবিক নয়। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে বেসরকারি বাস মালিকরা সরকারের কাছে ভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাব দিলেও সরকার এখনই ভাড়া বাড়ানোর ব্যাপারে রাজি নয়। যদিও বেসরকারি বাস পরিষেবার অনেক ক্ষেত্রেই যাত্রীরা নির্দিষ্ট ভাড়া থেকে বেশি নেওয়ার অভিযোগ করছেন।
আরও পড়ুন: বড় খবর! স্কুল খুলছে ১৬ তারিখ, কিন্তু বদলে গেল ক্লাসের সময়সীমা! শিক্ষকরা যাবেন কবে থেকে?
বর্তমান পরিস্থিতিতে বেসরকারি এসি ভলভো-তে এক লাফে ১০০ টাকা ভাড়া বৃদ্ধিকে যে সমর্থন করছে না পরিবহণ দফতর, তা পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কথাতেই স্পষ্ট। নিউজ ১৮ বাংলা-র কাছ থেকে ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি জেনে ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, "বেসরকারি লাক্সারি বাসের ভাড়া সরকার নিয়ন্ত্রণ করে না। আমি পরিবহণ সচিবকে তাও বলব বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে। ভাড়া বৃদ্ধি ঠিক নয়।"
আরও পড়ুন: গোয়ায় বিরাট চমক তৃণমূলের, মমতার হাত ধরে তৃণমূলে লিয়েন্ডার পেজ!
প্রসঙ্গত, বেসরকারি Ac Volvo -র ধর্মতলা থেকে আসানসোল ভাড়া ছিল ৪৫০ টাকা। এখন সেটা দাঁড়াল ৫৫০ টাকা। দুর্গাপুর পর্যন্ত ছিল ৪১০ টাকা। সেটা বেড়ে হল ৫১০ টাকা। রানীগঞ্জ ছিল ৪৩০ টাকা, বেড়ে হল ৫৩০ টাকা। শিলিগুড়ি পর্যন্ত ছিল ১২০০ টাকা। সেটা এখন ১৩০০ টাকা। বালুরঘাট ছিল ৭৫০ টাকা থেকে বেড়ে হল ৮৫০ টাকা। তবে ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (WBTC) কিংবা অন্যান্য সরকারি এসি বাস পরিষেবার ভাড়া সমস্ত রুটেই অপরিবর্তিত রয়েছে।