প্রায়ই বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রচুর নদীর মাছ রয়েছে, যেগুলো রেড-অক্সাইড জাতীয় রং দিয়ে রঙিন করা থাকে। রেড-ক্সাইড একটি কৃত্রিম গুঁড়ো রং। মাছের ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, মাছ জলে ধুয়ে ফেলার পর এই রং চলে যায়। ফলে মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষে কোনও ক্ষতি হয় না।
অন্যদিকে মৎস্য বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে খাদ্য গবেষকরা দাবি করছেন যে, মাছ যতই ধোয়া হোক। রেড-অক্সাইডের মত রং মাছের এমন কিছু কিছু অংশে প্রবেশ করে।যার ফলে জল দিয়ে ধুলেও সেগুলো বেরোয় না।সেগুলো মাছের শরীরের মধ্যে থেকে যায়। যার ফলে খাওয়ার সময় রেড-অক্সাইড মানুষের দেহে প্রবেশ করে। রেড-অক্সাইড যে ভয়ঙ্কর ভাবে মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। সেটা জানালেন খাদ্য গবেষক ডঃ প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস।
advertisement
আরও পড়ুন: বেলা বারোটায় লোকসভায় রিপোর্ট পেশ, মহুয়ার সাংসদ পদ হারানো সময়ের অপেক্ষা?
তিনি বলেন, ‘বেশিরভাগ ক্ষেত্রে খাবারে যে রং মেশানো হয়। সেগুলো পেট্রোলিয়াম জাতীয় দ্রব্য থেকে তৈরি হয়। এই রং খুবই সূক্ষ্ম আকার হওয়ার ফলে মাছের ভেতরে ঢুকে গেলে। যতই জল দিয়ে পরিষ্কার করা হোক। সেগুলো সমস্তটাই বেরিয়ে যায় না। আর এগুলো বিধি সম্মতভাবে খাওয়ার জিনিস না হওয়ার ফলে এগুলোতে ভারী পদার্থ, ভারী ধাতু থাকার সম্ভাবনা থাকে। যার ফলে মানুষের দুরারোগ্য ক্যান্সারের মতো রোগ হতে পারে। স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি থেকে আরম্ভ করে লিভার, কিডনি বিকল করতে পারে।’
আরও পড়ুন: কবে শুরু আইএসসি ও আইসিএসই পরীক্ষা? কবে শেষ? কবে রেজাল্ট? জানিয়ে দিল বোর্ড
তবে এইভাবে রং মেশানোর ব্যবসা কিংবা অভ্যাস সারা কলকাতা থেকে শুরু করে পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। এটা নিয়ে প্রশাসনিক শিথিলতা নিয়ে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে।”