এর আগে ইলেকট্রিক বাসের সঙ্গে সিএনজি বাসের উদ্বোধন করেছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এবার সেই সিএনজি বাসের জন্য ফিলিং স্টেশনের উদ্বোধন করলেন মন্ত্রী।
ভাড়া না বাড়িয়ে যাতে পরিবহণ ব্যবস্থার সমস্যা সমাধান করা যায়, সেই জন্যই সিএনজির ব্যবহার বাড়াতে চায় রাজ্য সরকার। তার জন্য বিকল্প জ্বালানি ব্যবস্থার উপরে জোর দিচ্ছে রাজ্য পরিবহন দফতর।
advertisement
আরও পড়ুন- ভিড়েই কাজ করেনি এসি, স্বীকার ফিরহাদের! দোষারোপে নারাজ পুরমন্ত্রী
এদিন কসবা পরিবহণ দফতরে ৩০ টি নতুন সিএনজি বাসের গ্যাস ফিলিং করলেন পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। নিজের হাতে বাসগুলিতে সিএনজি ফিলিং করে সিএনজি ফিলিং স্টেশনের শুভসূচনা করেন তিনি।
ফিরহাদ হাকিম জানান, কলকাতায় সমস্ত বাসকেই সিএনজি বাসে পরিবর্তন করা হবে। তার জন্য কসবা সহ ৮ টি ডিপোতে সিএনজি ফিলিং স্টেশন করার হবে বলে জানান।
তিনি আরো জানান, আগামী দিনে শহর এবং শহরতলিতে ইলেকট্রিক বাস চালানো হবে। আর বেশি দূরত্বের জেলাগুলিতে সি এন জি বাস চালানো হবে বলে জানালেন পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ইলেকট্রিক বাসের জন্য ইতিমধ্যে টেন্ডার ডাকার কাজ শুরু হয়েছে। বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানিকে দ্রুত সিএনজি বাসের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে বলে জানান পরিবহণ মন্ত্রী।
সিএনজি ফিলিং স্টেশন থেকে সরকারি বসের পাশাপাশি বেসরকারি বাসগুলিও সি এন জি ফিলিং করতে পারবেন বলে জানালেন তিনি। এছাড়া জেলা জেলায় সিএনজি ফিলিং স্টেশন করা হবে বলে জানান ফিরহাদ হাকিম।
২০২১ সালের জুন মাসে বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে রাজ্য পরিবহণ লিমিটেড ডব্লিউবিটিসিএল- এর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তি অনুযায়ী, কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় মোট আটটি সিএনজি ফিলিং স্টেশন তৈরির পরিকাঠামো তৈরি করবে বিজিসিএল।
আরও পড়ুন- 'কেকে-র মৃত্যু দুঃখের এবং লজ্জার', বলছেন বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ কুণাল সরকার
রাজ্যের পরিবহন দপ্তর কসবা ছাড়াও হাওড়া সল্টলেক ঠাকুরপুকুর নীলগঞ্জ বেলঘড়িয়া সাঁতরাগাছি করুণাময়ী, এই আটটি বাস ডিপোতে তৈরি হবে ফিলিং স্টেশন। প্রতিটি ফিলিং স্টেশন তৈরি করতে সাড়ে তিন কোটি টাকা করে পরিকাঠামো খরচ হবে বলেও পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর। এই সিএনজি ফিলিং স্টেশন গুলো থেকে প্রতি ঘন্টায় ১৫ টি বাসে গ্যাস ফিল করা যাবে ।
রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সিএনজি চালিত বাসের সুবিধার কথা বলতে গিয়ে জানান, এতে কলকাতা শহরসহ শহরতলিতে গাড়ি থেকে যে দূষন ছড়ায় তা অনেকটাই কমে যাবে। যারা সিএনজি চালিত বাস ব্যবহার করবেন, তাদের পরিবহন খরচ অন্তত ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ কমবে।