শুধু হাওড়া নয় বিধাননগর থেকে পানিহাটি অনেক পুরসভা ও উন্নয়ন সংস্থা কলকাতা পৌরসভার ঢাকাতে জঞ্জাল পাঠায়। এবার সেই পুরসভাকে রিসাইক্লিং বার্তা কলকাতা পৌরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের।
আরও পড়ুন: রাতারাতি ছিপছিপে…কীভাবে এত দ্রুত রোগা হয়েছিলেন করণ জোহর? এবার নিজেই ফাঁস করলেন সিক্রেট
কলকাতা পুর এলাকা থেকে প্রতিদিন চার হাজার মেট্রিক টন জঞ্জাল আসে ধাপাতে। এছাড়া ধাপাতে নতুন চাপ হাওড়া পুরসভার জঞ্জাল। আগেই বিধাননগর-সহ অন্যান্য পুর এলাকা থেকেও জঞ্জাল আসত ধাপায়। এসব দিয়েই রোজ ৫২০০ মেট্রিক টন জঞ্জাল জমা হয় ধাপাতে।
advertisement
এর মধ্যে মাত্র দেড় হাজার মেট্রিক টন জঞ্জাল রিসাইক্লিং এর কাজে লাগাতে পারছে পুরসভা। এই লক্ষ্যমাত্রা আরও বাড়াতে উদ্যোগে কলকাতা পৌরসভা। জঞ্জালের পাহাড় সামলাতে আরও একটি বিকল্প ধাপার ও জমি দেখছে পৌরসভা।
এছাড়াও সার প্রকল্প, সিএনজি গ্যাস, প্লাস্টিক রিসাইকেল থেকে থারমোকল তৈরির গ্র্যানিউলস নানা ধরনের রিসাইক্লিং প্যান্ট রয়েছে ধাপায়। প্রতিদিনের জমা হওয়া জঞ্জালের প্রায় দেড় হাজার মেট্রিক টন রিসাইক্লিং হয় প্রতিদিন ধাপাতে।
বর্তমানে কয়েকটি পুরসভার গাড়ি ধাপার সিএনজি গ্যাসে চলে। কলকাতা পৌরসভার জঞ্জাল সাফাই বিভাগের ডিরেক্টর জেনারেল শুভাশিস চট্টোপাধ্যায়কে নির্দেশ দেন মেয়র আরও ইউনিট বাড়ানোর জন্য। ভবিষ্যতে কলকাতা পৌরসভার সমস্ত গাড়ি যাতে ধাপার সিএনজিতে চলতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
যেদিন মেয়র ফিরহাদ হাকিম কলকাতা পুরসভার জয়হিন্দ জল প্রকল্প যেটা ধাপাতে অবস্থিত সেখানেও পরিদর্শন করেন। এই জল প্রকল্পে বর্তমানে প্রতি দিন ৩০ এমজি জল উৎপন্ন হয়। এর উৎপাদন ক্ষমতা আরও বাড়ানো হচ্ছে। সেই এক্সটেনশন কাজের গতি দেখতেই মেয়রের পরিদর্শন। ১৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রতিদিন ২০ মিলিয়ন গ্যালন জল উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াবে জয়হীন প্রকল্প।
সেখানে শ্রমিকের কম থাকার কারণে কাজের গতি ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ পান। মুর্শিদাবাদ মালদার শ্রমিক এর পরিবর্তে অন্য জায়গা থেকে শ্রমিক এনে দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। যদিও মেয়র বলেন ঈদ এবং চড়ক পুজোর জন্য অনেক শ্রমিকই ছুটিতে আছেন শ্রমিক নিয়ে কোন সমস্যা হবে না।