আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আন্দোলনের ঘটনার প্রেক্ষিতে এদিন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, দুঃখজনক ঘটনা। একটা ছাত্র মারা গেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। তবে এই ঘটনায় রাজ্যের মন্ত্রীর বিস্ফোরক মন্তব্য, "আলিয়ার ঘটনাস্থলের কাছে সিসিটিভি গুলো বন্ধ ছিল। একটা কাজ হচ্ছিল।"
পালটা আলিয়ার ছাত্রদের প্রশ্ন, কীসের কাজ হচ্ছিল যে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ বন্ধ রাখতে হয়েছিল? রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের আশ্বাস, ''চালক ধরা পড়বে। উপযুক্ত শাস্তি পাবে।''
advertisement
আরও পড়ুন: বিরাট খবর! ৪ 'প্রভাবশালী' তৃণমূল নেতার নামে জারি গ্রেফতারি পরোয়ানা, তোলপাড় বাংলা
দিনভর বিক্ষোভ অবস্থান পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বচসা এই নিয়েই আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সরগরম ছিল ছাত্র আন্দোলন। ছাত্রদের মনেই প্রশ্ন ওঠে যে এই ঘটনার সঙ্গে কোন প্রভাবশালী যোগসাজশ রয়েছে তাই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ। ছাত্রদের সেই প্রভাবশালী তত্ত্বে ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্য, ''প্রভাবশালী বলতে আপনারা রাজনৈতিক নেতাদের মনে করেন। কিন্তু প্রভাবশালী তো যাদের পয়সা আছে তারাও।''
গাড়ির মালিকের নাম প্রকাশ ও চালককে অবিলম্বে গ্রেফতারের ছাত্রদের দাবি প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, ''ছাত্ররা অবাস্তব দাবি করছে। পুলিশ উপরওয়ালা নয়। কেসটা বানাতে হবে। তথ্য প্রমাণ ছাড়া আদালতে গেলে পুলিশকেই অপদস্ত হতে হবে। ফিঙ্গারপ্রিন্ট মিলবে না, যে কাউকে ধরে আনলে। পুলিশ যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। কিছুটা সময় দিতে হবে। ছাত্রদের এটা বুঝতে হবে।''
আরও পড়ুন: 'একটা দুটো ঘটনা ঘটলেও আমরা দুঃখিত', হঠাৎ কেন দুঃখপ্রকাশ মমতার? তুঙ্গে জল্পনা
বগটুই কাণ্ডে অভিযুক্তের সঙ্গে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ফোনালাপ নিয়ে এদিন কার্যত উষ্মা প্রকাশ করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ''আমার মনে হয় না এটা হয়েছে। আমি জানিনা এটা আমার ব্যক্তিগত মত। সিবিআই এর কাছে তথ্য থাকলে সিবিআই আদালতের কাছে দেবে।''
নোট বন্দি প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বলেন, ''আমি কোনও আদালতের বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই না।''
নারদ কান্ডে নির্দেশে জেল যাওয়া প্রসঙ্গে এদিন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ''আমি নিজেও যখন ভুক্তভোগী তখনও আদালতের নির্দেশ মেনেছি। আমি জানি আমার উপর ভুল হয়েছে। তবুও আদালতের নির্দেশ মেনেছি। একটাই জানি উপরে ভগবান নিচে আদালত। এই ভরসা রাখতে হবে না হলে সমাজব্যবস্থা ভেঙে যাবে।''
নজরুল মঞ্চে এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক বৈঠকে সাংসদ এবং বিধায়কদের এলাকা ঘুরতে হবে রাত্রিবাস করতে হবে সাধারণ মানুষের বাড়িতে। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের বন্দর এলাকার বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ফিরহাদ হাকিম বলেন, ''বাড়িতে যাওয়া দিদির নির্দেশে। দল যেমন নির্দেশ দেবে যাব। এটা আমরা আগেও করেছি এখনও করব।''
জানুয়ারিতেই রাজ্যে আসছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি নয়, তারা আসছেন বিজেপি নেতা হিসেবে রাজ্যে দলের প্রচারের জন্য। অমিত শাহ এবং নরেন্দ্র মোদির বাংলা সফর নিয়েও চরম কটাক্ষ করেন রাজ্যের তৃণমূল নেতা ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বিজেপির দুই শীর্ষ নেতার আশা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ''আসবেন তাতে কী হল? ২০২১-এ এসেছিলেন। সভা করবেন চলে যাবেন।''