ফিরহাদ হাকিম বলেন, ''সারা দেশের অর্থনীতি পড়ে গিয়েছে। তাই শেষে এসেও লাফালাফি করছে বিজেপি। গান্ধিজি বলেছেন, মাথায় ছাদ এবং দুবেলা খাওয়া দরকার। রোজগার কত হল? সেটা বড় কথা নয়। মানুষ খেতে পাচ্ছে কি না? সেই মানুষের হতে কাজ আছে কি না, কত মানুষকে আমরা খেতে দিতে পারছি! এটা কি অর্থনীতি চাঙ্গা করতে পারে?'' প্রশ্ন তৃণমূল নেতার।
advertisement
সৌগত রায়ের মন্তব্য বিষয়ে ফিরহাদ বলেন, ''আমরা গান্ধিবাদী দল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মার খেয়েছেন। তিনি বেঁচে আছেন মানুষের দয়ায়। আমাদের উপরে এখনও অত্যাচার হচ্ছে। জনশক্তিই শেষ কথা বলে, রাজ শক্তি শেষ কথা বলে না। আমাদের দলের নেতা কর্মীদের আরও বিজেপির থেকে মার খেতে হবে। শুধু সৌগত রায়ের কথা বললে হবে ? আর দিলীপ ঘোষ যা বলছেন সেটা নিয়ে কী বলবেন!'' কার্যত সৌগত রায়ের পাশেই দাঁড়ালেন ফিরহাদ।
আরও পড়ুন: ঝড় তুলেছে সিবিআই, সাত জায়গায় পরপর হানা! তালিকায় বিধায়ক, চেয়ারম্যান, কাউন্সিলররা
বিজেপি নেতাদের কুকথা প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতার সাফাই , ''আমরা কুৎসার জবাব দেব। মানুষের দরবারে সব সময় তৃণমূল কংগ্রেস ছিল, আছে থাকবেও। বিজেপির বিরুদ্ধে ফিরহাদ হাকিমের অভিযোগ, তারা সরকার ভাঙার রাস্তা তৈরি করছে। কোথায় বেআইনি ভাবে সরকার ভেঙে দেব। নীতিগত যদি না থাকে তাহলে সরকার গড়া যায় না। মানুষ এটা ভালো ভাবে নেয় না। আত্মবিশ্বাসী ফিরহাদ বলেন, ''মানুষ শেষ কথা বলবে, দিলীপ ঘোষ শেষ কথা বলবেন না।''
আরও পড়ুন: ফের বাংলায় উদ্ধার টাকার পাহাড়, এবার মালদহের ব্যবসায়ীর বাড়িতে কোটি-কোটির খোঁজ!
ফিরহাদের সংযোজন, ''দিলীপ ঘোষ কাকে জেলে পাঠাবে, আর কাকে পাঠাবে না! আমি জানি না। আমরা মানুষের সঙ্গে থাকি, তাই মানুষ কথা বলে। আজকে নির্বাচন হলে একটাও সিট পাবে না। ৭৭ থেকে ৭ হয়ে যাবে বিজেপির আসন।''
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিজেপির পক্ষে কুৎসা ছড়ানো হচ্ছে। অপসংস্কৃতির দল ওরা। একসময় অধীর চৌধুরী অনিল বিশ্বাসকে বলেছিলেন, তাঁর বিদেশে টাকা ও সম্পত্তি আছে । তখন প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, মতবিরোধ থাকতে পারে। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি না অনিল বাবুর বিদেশে টাকা আছে। এই রাজনৈতিক সৌজন্য বিজেপি সহ রাজ্যে বিরোধী নেতাদের নেই।