অস্বাভাবিক সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত মামলায় ইডি-কে পক্ষ বা পার্টি করার নির্দেশকে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে আবেদন করেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী। প্রধান বিচারপতির নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন ফিরহাদরা।
রাজ্যে নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তি কীভাবে এত দ্রুত হারে বাড়ছে? তা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা খতিয়ে দেখুক, এই আর্জি নিয়ে মামলার শুনানি হয় হাই কোর্টে। এই মামলায় ইডি-কে পক্ষ করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই আর্জি জানান আইনজীবী শামিম আহমেদ।
advertisement
আরও পড়ুন: অনুব্রত গ্রেফতার, জেলে বসেই খবর শুনে অবাক করা প্রতিক্রিয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের!
হাইকোর্টে মামলাকারীর আইনজীবী ১৯ জন নেতা-মন্ত্রীর একটি তালিকা-সহ তাঁদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসেব দিয়ে জানান, ''২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত এই নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তি অস্বাভাবিক ভাবে বেড়েছে। পাঁচ বছরে এঁদের সম্পত্তির কীভাবে এত বৃদ্ধি ঘটল? তা খতিয়ে দেখুক ইডি।'' এর প্রেক্ষিতে ওই মামলায় ইডি-কে পার্টি করার নির্দেশ দেয় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতে যে ১৯ জন নেতা-মন্ত্রীর সম্পত্তি খতিয়ে দেখার আর্জি জানিয়েছিলেন শামিম, তাঁদের অধিকাংশই শাসক দল তৃণমূলের মন্ত্রী, বিধায়ক, নেতা। রয়েছেন, প্রাক্তন মন্ত্রী, বিধায়ক, নেতারাও।
আরও পড়ুন: 'সবে দুটো উইকেট পড়েছে', অনুব্রতর পর বড় আশঙ্কা উসকে দিলেন দিলীপ ঘোষ! নিশানায় কে?
ফিরহাদ হাকিম, ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক, মদন মিত্র, শিউলি সাহার পাশাপাশি, অমিত মিত্র, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, জাভেদ আহমেদ খান, রাজ্জাক মোল্লা, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এমনকি, প্রয়াত মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে, প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়, প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহের নামও রয়েছে সেই তালিকায়। রয়েছে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও। তবে ওই ১৯ জনের মধ্যে দুজন প্রয়াত হয়েছেন। এ প্রসঙ্গে ব্রাত্য বসু বলেন, ''আদালতের রায় নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে আমি তিনবার হলফনামা জমা দিয়েছি। তাতে সম্পত্তির হিসেবে অস্বাভাবিক কিছু দেখা গেলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেবো।'' সাংবাদিক বৈঠকে অস্বাভাবিক সম্পত্তি বৃদ্ধির অভিযোগ উড়িয়ে দেন ফিরহাদরাও। কিন্তু হাই কোর্টের নির্দেশে যে শাসক দলের নেতামন্ত্রীদের অস্বস্তি বেড়ে গিয়েছে কয়েকগুণ, তা নতুন করে আদালতের দ্বারস্থ হওয়া থেকেই স্পষ্ট।
