সোমবার সকালে ট্যাংরার ৬৪, জিসি দে রোডে একটি রাবার কারখানায় এবং তার সংলগ্ন একটি মজুতঘরে হঠাৎই আগুন লাগে। কারখানার রাবারের হাওয়াই চপ্পল ও তার কাঁচামালের মতো দাহ্য পদার্থ পেয়ে হুহু করে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। আশপাশের কয়েকটি বাড়িতেও আগুন লেগে যায়। আগুনের লেলিহান শিখায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গোটা এলাকার বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: আজ সেই ১২ ডিসেম্বর, মিলবে শুভেন্দুর ভবিষ্য়দ্বাণী? বঙ্গ রাজনীতিতে জল্পনা তুঙ্গে
advertisement
একে ঘিঞ্জি বসতি এলাকা, তার মধ্যে ছোট ছোট কারখানা। যার মধ্যে বেশির ভাগই হয়ত বেআইনি। যতরকম দাহ্য পদার্থ নিয়ে তাদের কারবার। তাই আগুন ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় গোটা এলাকায়। আগুন যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে এলাকাবাসীরাও আশাপাশের বাড়ির ছাদ থেকে জল নিয়ে আগুন নেভাতে শুরু করেন।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, এদিন সকালে যথেষ্ট তৎপরতা দেখিয়েছে দমকল। ফোন করার আধ ঘণ্টার মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকলের একাধিক ইঞ্জিন। এলাকা ঘিঞ্জি হওয়ায় প্রথমের দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছতে বেশ খানিকটা বেগ পেতে হলেও, পরের দিকে সমস্যা মেটে। প্রথমে দু-তিনটি ইঞ্জিন, তার পরে একে একে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১০টি ইঞ্জিন।
আরও পড়ুন: তৃণমূল ঘনিষ্ঠদের বাড়ির কাছেই পরীক্ষাকেন্দ্র, টেট মিটতেই বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর
বেলা ১২টা পর্যন্ত যদিও আগুন সম্পূর্ণ নিভিয়ে ফেলতে পারেনি দমকল। তবে, পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। ধোঁয়া বার করে দিতে ভেঙে ফেলা হয়েছে অগ্নিদগ্ধ বাড়ি, কারখানার ছাদ। ভিতরের কিছু অংশে এখনও ধিকি ধিকি আগুন জ্বলছে। সেই পকেট ফায়ার নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দমকলকর্মীরা।
তবে এই প্রথম নয়, ট্যাংরা বরাবরই যেন জতুগৃহ। এত ঘন জনবসতি পূর্ণ এলাকায় কী করে গড়ে উঠেছে এত কারখানা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। এ বিষয়ে আরও পরিদর্শন জরুরি বলে মনে করছেন এলাকাবাসীরই একাংশ।