ইজরায়েল দূতাবাসের সামনে হামলার কারণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলা সফর বাতিল হয়েছিল। তবে এই প্রতিকুলতাকে জয় করার চ্যালেঞ্জ নিয়ে শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবনেই পৌঁছে যান রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়া, প্রবীর ঘোষাল রথীন চক্রবর্তীরা। হাওড়- হুগলি জেলার মুখ্য নেতাদের বড় অংশের এভাবে মরিয়া হয়ে তৃণমূল ছাড়াকে বিরাট ডিভিডেন্ট হিসেবে দেখছে বিজেপি। পাশাপাশি তৃণমূলে ভাঙন ধরানোর এই রাজনৈতিক কৌশলই যে বিজেপির আগামী দিনেরও অস্ত্র হয়ে উঠতে চলেছে তা আরও একবার পরিষ্কার করে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
advertisement
এদিন শুভেন্দু বলেন, "রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, রথীন চক্রবর্তীরা তৃণমূল ছাড়ার পর হাওড়ায় কী হতে চলেছে তার সকলেই আন্দাজ করতে পারছেন।" খুব ভালো ভাবেই বোঝা যাচ্ছে, শুভেন্দুর ইঙ্গিত হাওড়ার তৃণমূলের সাংগঠনিক দুর্বলতা এবং বিজেপির রবরবার দিকে।
শুভেন্দু রীতিমতো হুঙ্কার দিয়ে এরপর রুটম্যাপটাও বাতলে দিলেন। বললেন, "আগামী ২ ফেব্রুয়ারি কলকাতা দক্ষিণ ২৪ পরগনা তৃণমূল কংগ্রেস ফাঁকা করে দেবো এতটাই ফাঁকা হয়ে যাবে তৃণমূল যে কাজ করার লোক থাকবে না।" শুভেন্দুর কথা আর রাজনৈতিক তাৎপর্য এই যে হাওড়ায় ভাঙন ধরানোর পর আগামী দিনে আরও দুই জেলায় নেতৃত্ব খুঁজতে তৃণমূলে ভাঙনকেই অস্ত্র করতে চাইছে বিজেপি।
তথ্য বলছে গত লোকসভা ভোটেও কলকাতা এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগণায় ধরাশায়ী হয়েছিল বিজেপি। তাই হাওড়ায় একটা সন্তোষজনক পরিস্থিতি তৈরি হলেও বিজেপি বিলক্ষণ জানে কলকাতা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণায় ভালো ফল করতে না পারলে মসনদ অধরাই থাকবে। তাই রাজীবকে নিয়ে সেই কাজেই ঝাঁপাতে চাইছেন শুভেন্দু। অসমর্থিত সূত্রের খবর, ফেব্রুয়ারিতেও তৃণমূলের দুএকটি বড় মুখ বিজেপিতে যোগ দিতে পারে। তাছাড়া দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার মাটিতে পদ্মচাষে মরিয়া হয়ে লড়াই শুরু করেছেন তৃণমূল থেকে আসা শোভন চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু ভালো ফল করতে চাই ভালো মুখ। সেই কাজটাই সেরে ফেলার লক্ষ্যে দৌঁড়চ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী।
আর এই ভাঙন তত্ত্বের চাণক্য যে তিনিই তাও পরিষ্কার শুভেন্দু অধিকারীর কথায়। রাজীব-যোগের চিত্রনাট্যের প্রণেতা এ দিন মঞ্চ থেকে বলেই ফেললেন, "রাজীবের সঙ্গে আন্ডারস্টান্ডিং ছিল। আমরা যা কিছু করব একসঙ্গে বাংলার জন্য করব। আমার পর রাজীবের যোগদান বৃত্ত সম্পূর্ণ হলো।"
