সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের ঘটনায় সোমবার কলেজ কর্তৃপক্ষ বৈঠক ডেকেছেন বলে জানা গিয়েছে। কলেজের উপাধ্যক্ষ নয়না চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এখনও আমার কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ আসেনি৷ মিডিয়ার কাছ থেকে একেরপর এক ফোন আসছে৷ কিন্তু, কোনও লিখিত অভিযোগ পাইনি৷ কলেজের দারোয়ান মারফত খবর পেয়েছি৷ আমি অশোক দেবকে (কলেজের গভর্নিং বডির প্রেসিডেন্ট তথা বিধায়ক) বিষয়টি জনিয়েছি৷’’
advertisement
উপাধ্যক্ষ নয়না চট্টোপাধ্যায় তাঁর বিস্ময় প্রকাশ করে জানিয়েছেন, তাঁদের কলেজে বিকেল চারটের পরে কলেজ ক্যাম্পাসে পড়ুয়াদের থাকাই বারণ করা রয়েছে৷ সেখানে এত রাতে কলেজ ক্যাম্পাসে কী করে ছাত্রছাত্রীরা রয়ে গেল, সেই বিষয়টিতে তিনি অবাক হয়েছেন৷
পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগপত্রে ওই ছাত্রী জানিয়েছেন, গত বুধবার, ২৫ জুন সন্ধে সাড়ে ৭টা থেকে ২২টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত কলেজের গার্ডরুমে তাঁর উপর অত্যাচার চলে৷ তদন্তের জন্য কলকাতার CNMC হাসপাতালে ওই ছাত্রীর প্রাথমিক শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়েছে৷ প্রত্যক্ষদর্শীদেরও শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়েছে ও তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে৷
পুলিশ জানিয়েছে, এফআইআরে নাম থাকা দু’জনকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয়। তালবাগান ক্রসিংয়ের কাছে সিদ্ধার্থশঙ্কর শিশু রায় উদ্যানের সামনে থেকে সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে এক জনকে এবং ৭টা ৩৫ মিনিটে এক জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় তৃতীয় অভিযুক্তকে। তিন জনের কাছ থেকেই নিয়ে নেওয়া হয়েছে তাঁদের মোবাইল ফোন। অভিযুক্ত ৩ জন এবং নির্যাতিতার নাম পরিচয় আড়াল রেখেছে পুলিশ৷
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন তদন্তকারীরা৷ কলেজের দু’টি ঘর সিল করা হয়েছে৷ ফরেন্সিক তদন্তও করা হবে৷ ধৃত ৩ জনের ৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত৷ কোথায় ছিলেন কলেজের নিরাপত্তারক্ষী, উঠছে প্রশ্ন৷