সময় হতেই ট্রাক থেকে বেরতে থাকে একটি পর একটি চকলেট ভর্তি বাক্স। তখনই প্রগতি ময়দান থানা অফিসারদের হানায় বেরিয়ে আসে বিস্ফোরক তথ্য। জানা যায় ডানকুনির একটি জায়গা থেকে এসেছে সেই চকলেট। মেয়াদ ফুরানো চকলেট ডানকুনি থেকে কলকাতায় এনে কী করা হবে? এই প্রশ্নের উত্তর পেতেই হতবাক পুলিশ অফিসারদের সকলেই।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রের পুরস্কার পেল পশ্চিমবঙ্গ, কোন উদ্যোগের জন্য মিলল এই স্বীকৃতি?
advertisement
জানা যায় ওই ডানকুনি থেকে আসা মেয়াদ ফুরানো চকলেটে কলকাতার ধাপায় ভরা হবে নতুন প্যাকেটে, সেই নতুন প্যাকেটে মেয়াদ ফুরানো চকলেট চলে যাবে বাজারে, তারপর ফের আগের মত বাজারে মিলবে ওই মেয়াদ ফুরানো চকলেট। এমনভাবে সুন্দর রঙিন প্যাকেট করা হয় যাতে আরও আকর্ষণীয় ও লোভনীয় হয় ওঠে সেগুলি। এই তথ্য তদন্তকারীদের কাছে আসতেই আটকানো হয় চকলেট ভর্তি ট্রাকটিকে, গাড়ির চালক সহ বেশ কিছু ব্যাক্তিকে আটক করে প্রগতি ময়দান থানা। আটক করার পরেই পুলিশ ২৭২,৪২০,৪০৬,১২০B আইপিসি ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে।
আরও পড়ুন: বগটুই কাণ্ডে কি সুপ্রিম কোর্টে যাবে রাজ্য? আগেভাগেই বড় সিদ্ধান্ত দুই মামলাকারীর!
প্রসঙ্গত, এইভাবে মেয়াদ ফুরানো চকলেট বিক্রির ঘটনা আগেও নজরে এসেছে কলকাতা পুলিশের। পুলিশ ধৃতদের গ্রেফতার করে জানতে চায় ওই মেয়াদ ফুরানো চকলেট কোন কোন বাজারে যেত? কার নির্দেশে এই কাজ হত? এই চক্রের মূল চক্রী কে? কতজন এই কাজের সঙ্গে যুক্ত? তদন্তকারী অফিসাররা এইসব নানান প্রশ্নের উত্তর পেয়ে তদন্তের গভীরে পৌঁছাতে চাইছেন।