অর্থাৎ, ইডির নজরে এবার পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি। মামলা রুজু করে এই ঘটনা নিয়েও তদন্তের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে ইডির অন্দরে। প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে পুরসভা নিয়োগেও যে টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি হয়েছে, এই তথ্য হাতে এসেছে ইডির।
আরও পড়ুন: তীব্র গরমের জ্বলুনি কি কমবে! কবে থেকে কোন কোন জেলায় নামবে বৃষ্টি, দেখে নিন এক ঝলকে
advertisement
ইডি সূত্রের দাবি, অয়ন শীলের অফিসে তল্লাশি অভিযানে পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত নথি হাতে এসেছে। তা খতিয়ে দেখে তাঁরা জানতে পেরেছেন, পুরসভার কর্মী নিয়োগেও হয়েছে আর্থিক লেনদেন। অর্থাৎ, টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার হয়েছে বহু লোককে। আর এই কাণ্ডের সঙ্গে নাকি সরাসরি যুক্ত ছিল অয়ন শীল ও তাঁর সংস্থা।
পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করা যায় কি না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই দিল্লি সদর দফতরের সঙ্গে আলোচনা করেছেন এখানকার তদন্তকারীরা। ইডি সূত্রের খবর, কলকাতার ইডি দফতর তদন্তের জন্য প্রস্তুতি নিতেও শুরু করে দিয়েছে। খোঁজ নেওয়া হয়েছে অয়ন শীলের বিরুদ্ধে কোনও থানায় মামলায় রুজু হয়েছে কি না।
ইডি সূত্রের দাবি, তদনতকারীরা জানতে পেরেছেন, এপ্রিল মাসের ১০ তারিখ চুঁচুড়া থানায় এক মহিলা অয়ন শীলের বিরুদ্ধে লিখিত আকারে অভিযোগ জানিয়েছেন। কী অভিযোগ? ইডি সূত্রে খবর, তারা জানতে পেরেছেন ওই মহিলা ২০১৯ সালে টিটাগড় পুরসভায় চাকরি পেয়েছিলেন। চাকরি যোগও দিয়েছিলেন। অভিযোগ অয়ন শীল তার কাছে পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন। সেই টাকা না দেওয়ায় ওই মহিলাকে ছাঁটাই করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এমনই আর কোনও অভিযোগ রয়েছে কি না, তা খোঁজ নিচ্ছে ইডি।
আরও পড়ুন: তেতে পুড়ে ছাই! রাজ্যের এই জেলায় তাপমাত্রা ছাড়াল ৪৪ ডিগ্রি! ১৪ জেলায় পারদ ৪০ এর উপরে
ইডি সূত্রে খবর, দিল্লির উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও লিগাল সেলের সঙ্গে কলকাতার আধিকারিকদের বৈঠক হয়েছে। প্রায় ২০টির বেশি পুরসভার নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে তথ্য রয়েছে তদন্তকারীদের হাতে। যা নিয়েই আগামী দিনে ইসিআইআর বা অভিযোগ দায়ের করে মামলা করতে চাইছে ইডি। সেক্ষেত্রে, কোনও থানায় অয়নের বিরুদ্ধে এফআইআর হলে সেই এফআইআরের ভিত্তিতে ইডি কেস শুরু করতে পারে বলেই ইডি সূত্রের দাবি।
উল্লেখ্য, এর আগে পার্ক স্ট্রিট থানায় ই-নাগেটস অনলাইন গেম নিয়ে অভিযোগ হয়েছিল আমির খান নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। সেই মামলা পরবর্তী সময়ে ইডি তদন্ত শুরু করে।