সূত্রের খবর, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সব সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রিন্সিপাল ও সুপাররা, প্রতিটি জেলার জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনার এবং জেলা পুলিশ সুপাররা। এমনকি কলকাতা পুলিশের কমিশনারও এই বৈঠকে যোগ দেন।
ধেয়ে আসছে! হাতে সময় কম… আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় ‘মান্থা’! কবে থেকে বঙ্গে শুরু দুর্যোগ?
এই কারণেই ফ্রিজে বরফ জমে; সহজ কৌশল কাজে লাগিয়ে মুহূর্তের মধ্যে বরফ গলিয়ে নিন, দেখে নিন কী করতে হবে!
advertisement
বৈঠকে মূলত সরকারি হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা ও সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা পরিকাঠামোও পর্যালোচনা করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনও খামতি থাকলে তা অবিলম্বে সংশোধনের বার্তা দিয়েছে নবান্ন।
মুখ্য সচিব মনোজ পন্থের তরফে একাধিক কড়া নির্দেশ জারি করা হয়েছে—
- সব চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের পুলিশ ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক।
- প্রতিদিন নিরাপত্তারক্ষীদের রোল কল ও ব্রিফিং সেশন করতে হবে।
- প্রত্যেক হাসপাতালকে ডিউটি রোস্টার যাচাই করে নিশ্চিত করতে হবে, কর্মীরা নির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করছেন।
- নিরাপত্তারক্ষীদের ইউনিফর্ম ও আইডি কার্ড পরা বাধ্যতামূলক।
- হাসপাতাল চত্বরে বা নির্দিষ্ট এলাকায় অনুমতি ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।
- হাসপাতালের ভেতরে ও বাইরের সিসিটিভি নজরদারি ও পর্যাপ্ত আলো আছে কি না তা প্রতিদিন খতিয়ে দেখতে হবে।
- স্বাস্থ্য দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের দৈনিক পরিদর্শন ও সিনিয়র চিকিৎসকদের রাউন্ড বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, প্রতিটি জেলায় পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরের যৌথ সমন্বয় বৈঠক (coordination meeting) করতে হবে, যাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থার কোনও ফাঁক না থাকে।
নবান্ন থেকে জানানো হয়েছে, হাসপাতালগুলির দমকলের লাইসেন্স ও অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা যাচাই করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে হাসপাতালে হাসপাতালে গিয়ে দমকল ব্যবস্থা পরীক্ষা করতে হবে।
রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হবে প্রতিটি জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে। মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশ— “হাসপাতালে রোগী ও চিকিৎসক, উভয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। কোনও গাফিলতি সহ্য করা হবে না।”
