এই প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের এগ মার্চেন্টের অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি,কাজল দত্ত জানান, ‘‘মূলত অন্ধ্রপ্রদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে, ওখানেই ডিমের চাহিদা ইতিমধ্যে বেড়েছে।সঙ্গে গত তিন দিন ধরে ডিমের যোগান কম আসছে।এ রাজ্যে যার ফলে ডিমের দাম পেটি প্রতি ১০০ টাকা করে বেড়েছে।তবে এই দাম খুব একটা বেশিদিন স্থায়ী হবে না।’’
ডিম বিক্রেতাদের দাবি, প্রতিবছরই ২৫ ডিসেম্বরের কয়েকদিন আগে থেকে ডিমের দাম উর্ধ্বমুখী হয়। বড়দিন উপলক্ষে বিভিন্ন কেক ফ্যাক্টরি গুলোতে কেক বানায়।এছাড়াও কেক বানানোর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিমের চাহিদাটাও বেড়ে যায়।তার ওপর শীতকালে মানুষের ডিম খাওয়ার প্রতি ঝোঁক বাড়ে। প্রতি বছরের ডিসেম্বরের ১২তারিখের পর থেকে ডিমের দাম বাড়তে শুরু করে। লাগাতার ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়তে-কমতে থাকে।গত বছরও ডিমের দাম ৭ টাকা পর্যন্ত বেড়েছিল। সেটি সবথেকে বেশি আট দিন ধরে চলেছিল। তবে এ বার ৫ ডিসেম্বর থেকে ডিমের দামটা বেড়ে যাওয়াটা মানুষের কাছে একটু চাপের হয়ে দাঁড়িয়েছে। শীতকালে গ্রীষ্মপ্রধান রাজ্যগুলোতে ডিমের চাহিদা বেশ খানিকটা বেড়ে যায়।
advertisement
আরও পড়ুন : সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও মনু মুখোপাধ্যায় একসঙ্গে অভিনীত শেষ ছবি আইনি জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে মুক্তির পথে
শীতে পশ্চিমবাংলায় ডিম সরবরাহ কিছুটা হলেও টান পড়ে। প্রশ্ন,যে সমস্ত জায়গা থেকে ডিম উৎপাদন হয়ে আসে ,সেই জায়গাগুলোতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হওয়া সত্বেও ডিমের দাম ,ডিম প্রতি ৫ থেকে ১০ পয়সা এদিক ওদিক হয়। বহন-ব্যয় একই থাকে। তবে মধ্যে ডিম প্রতি এক টাকা বৃদ্ধি হয়ে যাওয়া !এটা যথেষ্ট নেতিবাচক দিক বলে মনে করছেন বেশিরভাগ গ্রাহকেরা। সবাই প্রশ্ন করছে,সুযোগ পেলেই বাড়তি টাকাটা যাচ্ছে কোথায়?