ইডির সন্দেহ, অনলাইনে ভর্তির রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া চলাকালীন এই সার্ভার কারসাজি হয়ে থাকতে পারে। এর জন্য সার্ভার জ্যাম করে কারসাজি বলে সন্দেহ ইডির। তদন্তকারীদের অনুমান, অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন শুরু হওয়ার পরে একটা নির্ধারিত আসন সংখ্যা দিয়ে দেওয়া হত সার্ভারে। কিন্তু ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই জ্যাম করে দেওয়া হত সার্ভার। ফলে নির্দিষ্ট সংখ্যক আবেদনকারীদের পরে বাকিদের রেজিস্ট্রেশন আন-সাকসেসফুল বলে চিহ্নিত হত।
advertisement
যেমন, অনলাইনে ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন ১০০ জন। নির্ধারিত সময়ে এই আবেদন করতে গিয়ে ৩৫ জন সফল হলেন। বাকি ৬৫ জন পারলেন না। যাঁরা পারলেন না, তাঁরা অফলাইন রেজিস্ট্রেশনের জন্য যোগাযোগ করতেন কলেজগুলোর সঙ্গে।
আরও পড়ুন, হিজলির জঙ্গলে কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা ঘর, ভিতরে উদ্ধার ২ হাজার শাড়ি
ইডির সন্দেহ এরপরেই শুরু হত দুর্নীতি। কারণ, নিয়ম অনুযায়ী অফলাইনে রেজিস্ট্রেশন অনুমোদন দেওয়ার ক্ষমতা কেবল মাত্র ছিল পর্ষদ সভাপতির হাতেই । ইডির সন্দেহ, এই বিষয়টিকেই হাতিয়ার করেছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। সার্ভার জ্যামের কৌশল এই দুর্নীতিরই একটা অঙ্গ বলে মনে করা হচ্ছে।
ইডি সূত্রের দাবি, সার্ভারে কারসাজি করে অল্প সংখ্যায় অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন দেখিয়ে বলা হত আসন পূর্ণ হয়নি। নির্ধারিত দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরে অফলাইনে রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করার পিছনেও ছিল বড় পরিকল্পনা। তদন্তকারীদের অনুমান, ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে প্রতি কলেজ থেকে ছাত্র পিছু মোটা টাকা হাতিয়ে নেওয়া হত। এক্ষেত্রে ছাত্র পিছু মানিকের জন্য বরাদ্দ ছিল ৫০০০ টাকা ।
আরও পড়ুন, কামড় কাণ্ডে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে তলব, জিজ্ঞাসাবাদ চাকরিপ্রার্থী অরুণিমাকেও
ইডির দাবি, এখানেই শেষ নয়। ছাত্র পিছু অফলাইন রেজিস্ট্রেশনে এসেছে আরও বেশি টাকা। আর এই টাকার ভাগ কলেজগুলোর কাছে যেতে বলেও অনুমান করছেন তদন্তকারীরা। আগামী দিনে কলেজগুলোকে নোটিস ইস্যু করা হবে বলে খবর।