২০১৯ সালের ৩১ অগস্ট ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর শিয়ালদহমুখী টানেল খননের সময়ে একটি দূর্ঘটনা ঘটে। বউবাজারে ভেঙে পড়ে একের পর এক বাড়ি। পাশের টানেল নির্মাণের কাজে নিযুক্ত টানেল বোরিং মেশিন উর্বি দিয়ে বাকি কাজ করা হয়। দীর্ঘ আট মাস ধরে বউবাজারের দূর্গা পিতুরি লেনের নীচে আটকে যায় দুই টানেল বোরিং মেশিন। এর মধ্যে উর্বিকে খন্ড খন্ড করে তুলে আনা হলে চন্ডীকে মাটির ওপরে তুলে আনায় একাধিক বাধা ছিল। সেই কাজের জন্যে বউবাজারে ৪০ মিটার দীর্ঘ, ১৫ মিটার প্রস্থ এবং ২২ মিটার গভীর একটা কংক্রিটের চৌবাচ্চা বানানো হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় 'বন্ধু', সনু নিগমের মুখেও এবার 'খেলা হবে' স্লোগান! তবে কি...
আর সেখান দিয়েই দুই টানেল বোরিং মেশিনকে তুলে আনা হবে৷ কিন্তু মাটি খুঁড়ে চন্ডীর কাছে যেতে কালঘাম ছুটে যায় নির্মাণকারী সংস্থার আধিকারিকদের৷ খুশির খবর এটাই আপাতত দেখা মিলেছে চন্ডীর। তবে এটি তার নির্দিষ্ট অক্ষ থেকে ১.৫ মিটার নীচে হেলে গেছে। বউবাজারে মাটির ধস আটকানোর জন্যে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। সুড়ঙ্গ জুড়ে দেওয়াল তৈরি করে প্রকোষ্ঠ বানানো হয়। তার মধ্যে বিশেষ রাসায়নিক পাঠানো হয়। যাতে আর নতুন করে ধস না নামে। মাটির স্থায়িত্ব বজায় থাকে৷
আরও পড়ুন: বঙ্গ বিজেপি-তে প্রশান্ত কিশোরের গোপন লোক! মারাত্মক অভিযোগ তথাগত রায়ের
আর এই রাসায়নিক মিশ্রণ পাঠাতে গিয়ে দেখা যায় সুড়ঙ্গ জুড়ে কংক্রিটের একটা শক্ত আস্তরণ তৈরি হয়ে গেছে। ফলে মাটির নীচে চাপা পড়ে থাকা টানেল বোরিং মেশিন চান্ডি ওরফে চন্ডীকে তুলে আনতে রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছে মেট্রো ইঞ্জিনিয়ারদের৷