এই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই ১, ৯ এবং ১৬ নম্বর বরোতে ই-ওয়েস্ট বিন বসাচ্ছে পুরসভা। আগামী দিনে সারা শহরজুড়ে প্রতিটি বরোয় তা রাখা হবে বলে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান। মেয়র বলেন, কম্পিউটার, মোবাইলের মতো ই-ওয়েস্ট বা ইলেকট্রনিক্স জঞ্জাল সাধারণ বর্জ্যের মতো ফেলে দেওয়া যায় না। এর থেকে ক্ষতি হতে পারে পরিবেশের। তার জন্যই এই উদ্যোগ।
advertisement
কলকাতা পুরসভার মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে উঠছে এই ইলেকট্রনিক্স জঞ্জাল! না প্রতিদিনের বাড়িতে জমে ওঠা জঞ্জাল নয়। এ জঞ্জাল ইলেকট্রনিক্স দ্রব্যের জঞ্জাল। ই-ওয়েস্ট নিয়ে নতুন ভাবনা কলকাতা পৌরসভার। অদূর ভবিষ্যতে প্রতিটি বরোতে কালেকশন সেন্টার খুলবে কলকাতা পৌরসভা। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুরক্ষার জন্য কলকাতা পুরসভার এই উদ্যোগ।
কলকাতা পুরসভার মেয়র পরিষদ তথ্য প্রযুক্তি সন্দীপন সাহা বলেন, ‘‘আপাতত তিনটি বরো দিয়ে শুরু হলেও খুব শীঘ্রই আমরা ১৬ টি বরোতে কালেকশন সেন্টার খুলব। যাতে ই-ওয়েষ্ট ফেলতে নাগরিকদের হয়রানি না হতে হয়। একনজরে দেখে নেওয়া যাক কলকাতায় ইলেকট্রনিক জঞ্জাল এর পরিসংখ্যান।
*কলকাতা শহরে ২০১০ সালে ২.৫ মিলিয়ন টনই ওয়েস্ট উৎপন্ন হত।
*দশ বছরে সেই সংখ্যাটা ৩.৫ মিলিয়ন টন-এ দাঁড়িয়েছে।
*এত পরিমাণ এই ওয়েস্টের মধ্যে মাত্র ৮ থেকে ১০ শতাংশ রিসাইকেল করা হয়।
*অনেকেই সাধারণ জঞ্জালের সঙ্গে এই ওয়েস্ট মিশিয়ে ফেলেন।
*অবৈজ্ঞানিকভাবেই ওয়েস্ট পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়। যার ফলে পরিবেশের দূষণ হয় মারাত্মক ভাবে।
ভবিষ্যতে এই ওয়েস্ট পরিবেশের ক্ষেত্রে মারাত্মক দূষণের কারণ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন পরিবেশ প্রযুক্তিবিদরা। পরিবেশ প্রযুক্তিবিদ সোমেন্দ্র মোহন ঘোষ বলেন, পুরসভার এই উদ্যোগ আরও আগে নেওয়ার জন্য পরিবেশ প্রেমীরা আর্জি জানিয়েছিল। শুধু বরো অফিস নয়, যে দোকান থেকে ইলেকট্রনিক্স গেজেট কেনা হয়, সেখানেও এই বিন বসানোর প্রয়োজন রয়েছে।
কলকাতার শহরবাসীকে এই ওয়েস্ট সম্পর্কে সচেতন করার পাশাপাশি কলকাতা পৌরসভা ই-ওয়েস্ট কালেকশন সেন্টার বাড়াবে পুরসভা। কলকাতা পৌরসভার ১৬ টি বরো অফিস রয়েছে প্রত্যেকটি বরো অফিসে এই ওয়েস্ট কালেকশন সেন্টার করা হবে যাতে শহরবাসী বাড়ির কাছে এই ওয়েস্ট ফেলে আসতে পারেন। ই-ওয়েস্ট রিসাইকেল করার উপযুক্ত সংস্থা খুঁজছে কলকাতা পৌরসভা। আপাতত ভিনরাজ্যের একটি সংস্থা এই পুনর্নবীকরণের কাজ করবে।