রাজ্যের নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে মণ্ডপে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক। প্রতিটি মন্ডপে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। জোর দিতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ায় যাতে মন্ডপ দর্শনের ব্যবস্থা করা যায়। প্রতিটি মণ্ডপকে রাজ্যের নির্দেশ পুজোমণ্ডপে ভলেন্টিয়ার বা স্বেচ্ছাসেবক বাড়াতে হবে। রাজ্যের নির্দেশ করোনার কথা মাথায় রেখেই পুজো উদ্বোধনেও ঘটা করা চলবে না। এমনকী বিসর্জনের জমক রাখা চলবে না। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, দমকল পরিষেবা পুজো কমিটি গুলি পাবে বিনামূল্যেই। ৫০ শতাংশ ছাড়ে মিলবে বিদ্যুৎ। বলা হয়েছে রেজিস্টারড ক্লাবগুলিকে সাহায্য করার কথাও।
advertisement
আরও পড়ুন-যোগীরাজ্যে কৃষকদের পিষে দেওয়ার ভিডিও ভাইরাল, সরাসরি মোদিকে যে প্রশ্ন করলেন প্রিয়াঙ্কা
রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হচ্ছে, এ বছরেও কোনও রকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না। প্যান্ডেলে খোলা পরিবেশে থাকতে হবে। প্রতিটি মণ্ডপে এন্ট্রি এবং একজিট পয়েন্ট নির্দিষ্ট করতে হবে। খোলামেলা পরিবেশে পুজো করতে হবে। অযথা ভিড় করা চলবে না। প্রসাদ বিতরণ, সিঁদূর খেলা ও অঞ্জলি দেওয়ার মতো বিষয়ে অর্থাৎ যে অনুষ্ঠানগুলিতে ভিড় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, সে ব্যাপারে বাড়তি সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে।
উল্লেখ্য আগেই পুজোর দিনগুলিতে নাইট কার্ফু শিথিল করার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। এবার বলা হয়েছে, বিচারকদের নিয়ে পুরস্কার দেওয়া হবে এমন কোনও অনুষ্ঠান যথাসম্ভব ছোট করে করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাত ১০ টা থেকে ভোর তিনটের মধ্যে করার চেষ্টা করতে হবে। এদিন সব মিলে ১১ দফা গাইডলাইন (Durga Puja Guideline 2021) জারি করেছে রাজ্য।
প্রসঙ্গত গতবারেও করোনার কথা মাথায় রেখে রাজ্যে কার্নিভাল হয়নি। এ বছরেও একই রকম ভাবে ছিমছাম পুজোর নীতিই বহাল রাখছে রাজ্য।