এবারের থিম রাঙামাটির বাংলা। দক্ষিণ বাংলার প্রচীন ঐতিহ্য টেরাকোটা মন্দিরের আদলে তৈরি হয়েছে মঞ্চ। ঠাকুর দালানে বসে কার্নিভাল উপভোগ। শহরের সেরার সেরা পুজোকমিটিগুলির প্রতিমা রেড রোড ধরে একে একে এগিয়ে যাবে ঘাটের দিকে। নাচে-গানে জমজমাট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রত্যেক পুজো কমিটির ২-৩টি ট্যাবলো, সর্বাধিক ৫০ জন সদস্য।
রেড রোডের দু'ধারে চন্দননগরের আলোয় তুলে ধরা হয়েছিল রাজ্য সরকারের বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্প। ৮৪ ফিট/২৪ ফিটের দু'টি মঞ্চ। ১৫ হাজার আসনের ব্যবস্থা। প্রায় ৪ হাজার আসন ছিল ভিভিআইপিদের জন্য। প্রচুর বিদেশি পর্যটককেও দেখা গিয়েছিল। তাঁদের জন্যও ছিল আলাদা গ্যালারি। টলিউডের একঝাঁক তারকাদের জমকালো উপস্থিতিও নজর কাড়ে পুজো কার্নিভালে।
advertisement
কার্নিভালের সূচনা করেছিল কলকাতা পুলিশের কমব্যাট ফোর্স। বাইকে কসরত দেখান টর্নেডোর ৪৫ জন সদস্য। এক দিনেই এই সমস্ত পুজোর একসঙ্গে স্বচক্ষে দেখলেন ৩০ হাজার দর্শকের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী।
চেতলা অগ্রণী, সুরুচি সংঘ, ভবানীপুর ৭৫ পল্লি, হিন্দুস্তান পার্ক সর্বজনীনর পাশাপাশি বারুইপুর পদ্মপুকুর দুর্গোৎসব কমিটি, বেলঘরিয়ার মানসবার্গ সর্বজনীন, বরানগর নেতাজি কলোনি লোল্যান্ডের মতো পুজোও সকলে দেখার সুযোগ পেয়েছেন এই রেড রোডে বসে। প্রতিটি পুজো কমিটির জন্য ৫ মিনিট করে সময় বরাদ্দ করা হয়েছিল। এর মধ্যেই তাঁরা নিজেদের পারফরম্যান্স দেখায়। কার্নিভাল শেষে সমস্ত প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় বাবুঘাটে। শেষ এবারের দুর্গোৎসব। গঙ্গার ঘাটে ঢাকের বোলে আসছে বছর আবার হবে।