'দুয়ারে নয়, দোকানে রেশন', পাল্টা প্রচার শুরু করেছিল রেশন ডিলারদের জয়েন্ট ফোরাম। সংগঠনের বক্তব্য, সেপ্টেম্বর মাসে ১৫ শতাংশ পাইলট প্রজেক্টের মাধ্যমে তাঁরা অংশগ্রহণ করেছিলেন। সেই কাজ করতে গিয়ে নানা ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁদের। বাড়িতে রেশন নেওয়ার ব্যাপারে গ্রাহকরা অনেকেই অনীহা প্রকাশ করেছেন৷
পাইলট প্রজেক্ট দীর্ঘদিন ধরে চলতে পারে না। এই প্রকল্প কার্যকর করা সম্ভব নয়। কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে জয়েন্ট ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানিয়েছেন, "আমাদের অভিজ্ঞতা হল, অতিরিক্ত ব্যয়ভার এবং Handling Loss হয়েছে, সেগুলি যথাযথ হিসেব নিকেশ করে আমাদের ন্যায্য প্রাপ্যটুকু অবিলম্বে দিয়ে দেওয়া হোক।" তবে আগামীকাল প্রায় ১০ হাজার রেশন ডিলারদের নিয়ে এই প্রকল্প চালু করা হচ্ছে। বিশ্বম্ভরবাবু অবশ্য জানিয়েছেন, "যারা শারীরিক ভাবে সক্ষম নয়। তাঁদের রেশন দিতেই আমরা অবশ্যই তাদের বাড়িতে যাব।"
advertisement
রাজ্য অবশ্য সকলকেই দুয়ারেই রেশন (Duare Ration) দিতে আগ্রহী। বেশ কিছু বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি বলেই জানাচ্ছেন রেশন ডিলারদের সংগঠন। এরই মধ্যে প্রতি কুইন্টালে ৫০ টাকা কমিশন বাড়াল রেশন ডিলারদের সংগঠন। বায়োমেট্রিক করতে হলে মিলবে আরও ২৫ টাকা কুইন্টাল প্রতি। এখন কমিশন মেলে প্রতি কুইন্টালে ৭৫ টাকা করে। ডিলারদের দাবি ছিল, সব মিলিয়ে ২০০ টাকা। সেটি হয়েছে আপাতত ১২৫ টাকা। দুয়ারে রেশন চালু হলেও ভৌগোলিক কারণে তা চালু করা হবে না পাহাড়ের দুই জেলায়।
আরও পড়ুন- আচমকা 'বায়ো'তে পরিবর্তন, বড় বিস্ফোরণের ইঙ্গিত তথাগত রায়ের! না কি দলত্যাগ?
এমনকী, সুন্দরবনের ব-দ্বীপের একাংশেও তৈরি হয়েছে অসুবিধা। তবে যেখানেই পণ্য সরবরাহ করা হোক না কেন, পণ্য মেপে, ই-পাস মেশিনে নথিভুক্ত করে তবেই তা দেওয়া হবে গ্রাহকদের। ডিলারদের একাধিক বক্তব্য থাকলেও রাজ্যের খাদ্য দফতরের কথায়, আগে শুরু হোক প্রকল্প। তার পরেই বোঝা যাবে সমস্যা কোথায় হচ্ছে। খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ জানিয়েছেন, "মাঠে নেমে আগে কাজ শুরু হোক। তারপরেই তো কোথায় কোথায় সমস্যা হচ্ছে তা বোঝা যাবে। শুধু সমস্যাই দেখতে গেলে কোনও কাজ হবে না।" তাই আগামিকাল থেকে রাজ্যের প্রায় ১০ হাজার ডিলারদের নিয়ে চালু হবে দুয়ারে রেশন (Duare Ration)।
আরও পড়ুন- হাইকোর্টের লালবাড়ি জিততে মরিয়া তৃণমূল, রোডম্যাপ বানালেন খোদ আইনমন্ত্রী