আরও পড়ুন : আকর্ষণের শীর্ষে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার! রাজ্যে ২৩ দিনে জমা পড়ল ১ কোটির বেশি আবেদন পত্র...
তবে কমিশন বাড়লেও এখনও সন্তুষ্ট নয় রেশন ডিলারদের সংগঠন (Ration Dealers Association)। দুয়ারে রেশন (Duare Ration Sceme), অর্থাৎ মানুষের ঘরে ঘরে পৌছে যাবে রেশন। কিন্তু এই কাজ করতে গিয়েই দরকার রেশন ঘরে ঘরে নিয়ে যাওয়ার জন্যে গাড়ি। আর এই গাড়ি কেনার জন্যে অর্থ কে দেবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে মতান্তর। রেশন ডিলার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানিয়েছেন, "ব্যাঙ্ক থেকে ধার করা টাকায় গাড়ি কিনব না। প্রায় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা খরচ করে আমাদের পক্ষে গাড়ি কেনা সম্ভব নয়।"
advertisement
ডিলারদের (Ration Dealers) এই বক্তব্য মানতে নারাজ খাদ্য মন্ত্রী রথীন ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, "রাজ্য সরকার গতিধারা প্রকল্পের আওতায় এক লক্ষ টাকা দিচ্ছে। সেই টাকায় গাড়ি কেনানোর ব্যবস্থাও রাজ্য সরকার (West Bengal Govt) করে দেবে। আর বাকি টাকা দিয়ে যিনি গাড়ি নেবেন তিনি তো তার মালিক হয়ে যাবেন। রেশন সরবরাহের পাশাপাশি সেই গাড়িকে অন্য সময়ে তিনি কাজে লাগাতে পারবেন। আমরা তো সেই কাজে বাধা দিতে যাব না।"
আরও পড়ুন : 'কৃষক স্পেশালে' সুখবর! ছোট ব্যবসায়ীদের 'আরও ট্রেনের' দাবিতে 'বড়' সিদ্ধান্তে পূর্ব রেল...
ইতিমধ্যেই গাড়ি কেনার ব্যাপারে ১ লক্ষ টাকা সাহায্যের কথাও নোটিফিকেশন জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি রেশন ডিলারদের সংগঠনের তরফ থেকে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে, তাদের কমিশনের অঙ্ক ২০০ টাকা করে দিতে হবে। বর্তমানে কমিশন অবশ্য ৭৫ টাকা করে দেওয়া হয়। বাড়ি গিয়ে রেশন সরবরাহের জন্যে কর্মী ও অতিরিক্ত খরচ দেখিয়ে ১২৫টাকা বর্ধিত চাওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি পণ্য সরবরাহের জন্যে হ্যান্ডলিং চার্জ দাবি করা হয়েছে৷ কারণ হিসাবে বিশ্বম্ভর বাবু জানিয়েছেন, রেশন দোকান বা গোডাউন থেকে কোনও বাড়িতে পণ্য সরবরাহ করতে গেলে কিছু পণ্য নষ্ট হয়। তাই হ্যান্ডলিং চার্জ দাবি করা হয়েছে।
রেশন ডিলারদের সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছে মাসে তাদের অতিরিক্ত ৪১৬৮০ টাকা খরচ হবে। সেই টাকার হিসাবে তারা বলছে, গাড়ির চালক ১২ হাজার টাকা। সহকারীর জন্যে ১০ হাজার টাকা। জ্বালানী বাবদ ২৫০০ টাকা। গ্যারাজ বাবদ ১৫০০ টাকা। রক্ষণাবেক্ষণের জন্যে ২০০০ টাকা। রোড ট্যাক্স বাবদ ৬০ টাকা। বিমা বাবদ ১০০০ টাকা। দূ্ষণ রোধে ২০ টাকা৷ ইএমআই বাবদ ১২৬০০ টাকা। ইতিমধ্যেই এই হিসেব তারা জমা দিয়েছেন রাজ্যের কাছে।
দুয়ারে রেশন চালু হলেও ভৌগোলিক কারণে তা চালু করা হবে না পাহাড়ের দুই জেলায়। এমনকি সুন্দরবনের ব-দ্বীপের একাংশেও তৈরি হয়েছে অসুবিধা৷ তবে যেখানেই পণ্য সরবরাহ করা হোক না কেন, পণ্য মেপে, ই-পস মেশিনে নথিভুক্ত করে তবেই তা দেওয়া হবে গ্রাহকদের। ডিলারদের একাধিক বক্তব্য থাকলেও রাজ্যের খাদ্য দফতরের কথায়, আগে শুরু হোক প্রকল্প। তার পরেই বোঝা যাবে সমস্যা কোথায় হচ্ছে। খাদ্য মন্ত্রী রথীন ঘোষ জানিয়েছেন, "মাঠে নেমে আগে কাজ শুরু হোক। তারপরেই তো কোথায় কোথায় সমস্যা হচ্ছে তা বোঝা যাবে। শুধু সমস্যাই দেখতে গেলে কোনও কাজ হবে না।" তাই চলতি মাসেই রাজ্যের প্রায় ৩১০০ ডিলারদের নিয়ে চালু হবে দুয়ারে রেশন।