এক সময় বাগনানে বাড়ির কাছে বেশ কয়েকটি শিশুকে আঁকা শেখাতেন।তাতে মাসে সবমিলিয়ে দেড় থেকে দু হাজার টাকা হত। তবে কোনওভাবেই সংসার চলত না। জয়ন্ত নিজেকে স্বনির্ভর করবার জন্য বরাবরই উদ্যোগী ছিলেন। তবে বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করেও কোন লাভ হয়নি তার। শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে বাধা হয়ে উঠতে দেননি। প্রতিদিন বাসের পাদানিতে উঠতে গেলে, দুটি হাতে ভর করে ওঠেন! কিন্তু সেখানেও সাবলীলতার অভাব নেই।
advertisement
আরও পড়ুন : বিয়ের আগেই জন্ম প্রথম দুই ছেলের, বাল্যসখী থেকে স্ত্রী হওয়া আন্তোনেলা জীবনের সব লড়াইয়ে পাশে থেকেছেন মেসির
জয়ন্ত বলেন, কারওর সাহায্য ছাড়াই সব কিছু করতে পারবেন। তিনি আগে মেলায় ছোটখাটো দোকান দিতেন। সেখানেও তেমন টাকা রোজগার হত না। ওঁর বড় স্বপ্ন, নিজে রোজগার করে অনেক বড়লোক হবেন এবং নিজের স্বপ্নের মতো করে বাঁচবেন।সরকারের থেকে কোনও সাহায্য পান কি? জিজ্ঞাসা করতেই ওর উত্তর, " মাসে হাজার টাকা করে পাই। ওতে কী হবে? "
কোনও উপায়ন্তর না দেখে ভিক্ষেবৃত্তিকেই বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন অতীতের এই আঁকার শিক্ষক।