পূর্ত দফতরের লাল ফিতের ফাঁস। সঙ্গে সক্রিয় কোনও অসাধু চক্র। মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর এমন সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেছিল নিউজ18 বাংলা। সেই সম্ভাবনাই যেন মেনে নিলেন পূর্তমন্ত্রী। এদিন পূর্ত দফতরের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে সেদিকেই আঙুল তুললেন পূর্তমন্ত্রী। তাঁর কথায় স্পষ্ট হলো, মাঝেরহাটের ঘটনায় ষড়যন্ত্রের যোগও থাকতেও পারে।
আরও পড়ুন
advertisement
এদিন অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘অনেক ইঞ্জিনিয়াররা সময় মতো রিপোর্ট দিচ্ছেন না। দায়সারা রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। পূর্ত দফতরে অনেক মীরজাফর আছে। অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে। অর্থ দফতরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে টেন্ডার পাস করিয়ে নিতে হবে। প্রয়োজনে এদের বিরুদ্ধে তদন্ত হবে। সিআইডিকে দিয়ে তদন্ত হতে পারে।’
এর আগে প্রকাশ্যে এসেছিল এই রিপোর্ট যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জুলাই মাসেই জানতে চেয়েছিলেন রাজ্যের ব্রিজগুলির স্বাস্থ্য কেমন। রিপোর্ট জমা দেওয়ার সময় ছিল ১৫ দিন। কিন্তু, সেই রিপোর্ট আটকে পড়ে লাল ফিতের ফাঁসে।
এ বছর পাঁচই জুলাই মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে এই চিঠি দেওয়া হয় ৷
চিঠিতে, রাজ্যের সমস্ত ব্রিজ, ফ্লাইওভার, বাঁধ, ড্যামের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে পনেরো দিনের মধ্যে অর্থাৎ ২০ জুলাইয়ের মধ্যে মুখ্যসচিবকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়। মুখ্যসচিব ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেন পূর্ত দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে ৷ তিনি আবার সমস্ত জোনের চিফ ইঞ্জিনিয়ারদের থেকে তথ্য নিয়ে ইঞ্জিনিয়ার-ইন-চিফকে ১৬ জুলাইয়ের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেন।
আরও পড়ুন
দামী পেট্রোলে দামী উপহার! পেট্রোল পাম্পে কেনাকাটায় এবার উপহার মিলছে বাইক-এসি-মোবাইল
এভাবেই প্রশাসনের অন্দরে চিঠি চালাচালি হয়েছে। রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। কিন্তু উত্তর মেলেনি। এমনকি বের কয়েকবার টেন্ডার ডেকেও কাজ শেষ হয়নি। পূর্ত দফতরের অফিসারদেরই গাফিলতি স্পষ্ট হয়েছিল তখনই। কিন্তু ঘটনাটি কোনও বিশেষ উদ্দেশ্যে তা ঘটানো হয়েছিল কিনা, এদিনের পর সেই প্রশ্নও উঠে গেল।