এদিন তিনি বলেন, ''এখন ভোট করার যে পরিবেশ নেই, সেটা সবাই জানে। আমরাও চেয়েছিলাম ভোট যাতে পিছিয়ে যায়। দু-তিন বছর কেন ভোট করেনি সরকার। কমিশন আর সরকার যে সেটিং করেছিল, সেটা স্পষ্ট। এখন ভোট হলে কত লোক তো ভোট দিতেই যেতে পারতেন না। তাই আমরা চেয়েছিলাম এই পরিস্থিতিতে ভোট পিছোক।''
advertisement
বিজেপি-র প্রচারে শাসক দল তৃণমূল বাধা সৃষ্টি করছে বলে আগেই সুর চড়িয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। এদিনও সেই প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ''প্রচার করতে গেলেই কেস দিয়ে দিচ্ছে। আমার নামে সল্টলেকে, রাজারহাটে অভিযোগ দায়ের করছে। প্রতিদ্বন্দ্বি বলতে আমরাই আছি শাসক দলের বিরুদ্ধে। শাসক দল ভাবছে ওরা একাই আছে। গায়ের জোরে চেষ্টা করছে সব জিতে নিতে। নিজেদের মধ্যে আলাদা মত উঠে আসছে তাই।''
রাজ্যের পুরভোট পিছিয়ে যাওয়ার বিষয়ে শনিবারই নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন দিলীপবাবু। বলেছিলেন, ''জল খাবে, কিন্তু ঘোলা করে খাবে। ঘোলা জল কে খাবে তা তো আমরা সবাই জানি। মানুষের চিন্তা নেই সরকারের, রাজনীতি আর নির্বাচনের চিন্তা করছে এখন। আজকে আদালতের থাপ্পড় খেয়ে নির্বাচন পিছোতে বাধ্য হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ এখন করোনাভাইরাসে এগিয়ে রয়েছে। কিন্তু সরকারের মাথায় এখন শুধুই ক্ষমতা দখলের চিন্তা। তাই নির্বাচন কমিশনের কাঁধে বন্দুক রেখে চালাচ্ছে। আদালত পরিস্থিতি বুঝে নিয়েছে। সেই কারণেই এমন রায় দিয়েছে।''
আরও পড়ুন: হঠাৎ ঝাঁকুনি, বিকট আওয়াজ, ভাঙা ফিসপ্লেট! বড় দুর্ঘটনা এড়াল ডাউন দত্তপুকুর লোকাল
করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে দেশ তথা রাজ্যে। এই পরিস্থিতিতে পুরসভার নির্বাচন পিছিয়ে দিতে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল। সেখানে চার থেকে ছয় সপ্তাহ নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া যায় কিনা তা নির্বাচন কমিশনকে খতিয়ে দেখতে বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তা জানাতেও বলা হয়েছিল। ২২ জানুয়ারি চার পুরসভা—আসানসোল, চন্দননগর, বিধাননগর এবং শিলিগুড়িতে ভোটের দিন ঠিক হয়েছিল। কিন্তু তা পিছিয়ে গেল। আপাতত ঠিক হয়েছে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি হবে ওই চার পুর নিগমের ভোট।