এরপরই দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, ''এখান থেকে দিদিমণি গিয়ে উল্টাপাল্টা হিন্দি বলে অখিলেশের দোকানটা বন্ধ করে দিয়েছেন। পঞ্জাবে আমরা প্রথমবার একক ভাবে নির্বাচনে লড়েছি। মানুষ ভোট দিয়েছেন, আমরা কয়েকটা সিট পাব। কংগ্রেস ওখানে যেভাবে এত দিন রাজত্ব করেছে, কংগ্রেস বরাবরের জন্য পারিবারিক রাজনীতি করে এসেছে। বারবার মুখ্যমন্ত্রী বদল সহ যে মূল সমস্যাগুলো পঞ্জাবের, তার কোন সমাধান হয়নি।
advertisement
দিলীপের সংযোজন, ''মানুষ দিল্লিতে যেভাবে এক্সপেরিমেন্ট করেছে একবার আপকে সুযোগ দিয়ে, পঞ্জাবও দিয়েছে। আমার মনে হয় কংগ্রেসের যে ট্র্যাডিশনাল পলিটিক্স, পরিবারবাদ সেগুলো আস্তে আস্তে শেষ হয়ে যাচ্ছে। ভারতবর্ষের যত দুর্নীতি, বিচ্ছিন্নতাবাদ এই সবগুলোর জন্ম দিয়েছে কংগ্রেস।''
আরও পড়ুন: মাদককাণ্ডে নাম জড়ানো পামেলাকে বড় দায়িত্ব বিজেপি-র! দিলীপ ঘোষ যা বললেন...
গোয়ার নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ''হাওয়াতে উড়ে গিয়ে কেউ যদি টাকা-পয়সা খরচ করেন, লোক ভাড়া করে যদি মনে করেন পার্টি দাঁড়িয়ে যাবে, সেটা সম্ভব নয়। ত্রিপুরাতে আমরা দেখেছি এখান থেকে টাকাপয়সা নেতা লোকজন সব নিয়ে গিয়ে ওখানে চেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু কোন লাভ হয়নি। গোয়াতে তৃণমূলেরই সহযোগী পার্টি চার-পাঁচটা সিটে এগিয়ে আছে, কিন্তু তৃণমূল এগিয়ে নেই।''
পাশাপাশি তিনি জয়প্রকাশ মজুমদারের তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে বলেন, ''এটা ওঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমাদের দলে যখন এসেছে, তাঁর যোগ্যতা অনুযায়ী তাঁকে আমরা সম্মান দিয়েছি, জায়গা দিয়েছি, পদ দিয়েছি। এখন উনি চলে গিয়েছেন। আমাদের দল যেভাবে ওঁকে সম্মান দিয়ে রেখেছিল, সেই অনুযায়ী উনি এটা ঠিক করেননি।''
আরও পড়ুন: তৃণমূলের সঙ্গে মিশে যাক গোটা কংগ্রেস, বাংলার মন্ত্রীর মন্তব্যে তুমুল শোরগোল
অন্যদিকে খড়্গপুরে বিজেপি বিধায়ক হিরণময় চট্টোপাধ্যায় চেয়ারম্যান পদের জন্য তৃণমূলে যোগদান দিতে পারেন, এই জল্পনা প্রসঙ্গে দিলীপ বাবু বলেন, ''রটনা অনেক কিছু ঘটে। যার সম্পর্কে রটনা হয়, তাঁকেই প্রশ্নটা করা উচিত।''