1) রাজ্যে আংশিক কড়া বিধি নিষেধ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন:
সরকার তো তার মতো করে করবে। এটা ঠিক যে অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রাখতে হয়। কিন্তু অর্থনীতিকে বাঁচাতে গিয়ে ওখান থেকে যদি বেশি সংক্রমণ হয় তাহলে চিন্তার ব্যাপার। এখন এক সপ্তাহ অবজারভেশন থাকবে পরিস্থিতি কোনদিকে যাচ্ছে। বড়দিন বা নববর্ষকে কেন্দ্র করে যে ধরনের ভিড় হয়েছে সব জায়গায়, এটা একটা ভয়ের কারণ। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা ভাববেন কী করা উচিত।
advertisement
2) করোনা আবহে আসন্ন পুরভোট করা নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন:
যখন বিধানসভা নির্বাচন চলছিল, তখন পশ্চিমবঙ্গে কোভিড বাড়েনি। মহারাষ্ট্র, দিল্লিতে কোভিড বাড়ছিল আর নির্বাচন এখানে হচ্ছিল। তখন চেঁচামেচি হচ্ছিল বন্ধ করে দাও, তখন টিএমসি ভাবছিল হেরে যাবো। আর এখন যখন ২০%-৩০% বুথে ভোট, এখান সরকার একসঙ্গে করতে পারছে না। কারণ ভোটটা লুঠ হবে। তাই একটা-একটা করে পৌরসভায় ভোট করছে। কেন একসঙ্গে করল না? তাহলে টেনশন থাকত না। ১০-১৫ দিনে যদি আরো কোভিড বাড়ে, তাহলে ভোট সম্ভব কীভাবে হবে, জানিনা। আর যে ১১৫ পুরসভা বাকি আছে সেগুলো জলের মধ্যে পড়ে যাবে। আমরা চেয়েছিলাম সমস্ত নির্বাচন একসঙ্গে হোক। কিন্তু রাজনৈতিক লাভ নেওয়া হচ্ছে। যদি পরিস্থিতি এরকম হয় তাহলে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: কিছুতেই ধরা গেল না, গোসাবায় ঢুকে পড়ে রয়্যাল বেঙ্গলের শেষমেশ যা পরিণতি হল...
3) অভিষেক এর ত্রিপুরায় মন্দিরে পুজো দেওয়া ও কর্মীর বাড়িতে খাওয়া দাওয়া প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন:
বিজেপিকে ফলো করছে। মন্দিরে যাওয়ার পরম্পরা কার? বিজেপির। ওরা মনে করছে এটা করা উচিত। এতদিন মসজিদে যেত, কিন্তু তাতে হচ্ছিল না। তাই মন্দিরে যাওয়া শুরু করেছে। আমরা জেলাকে ছোট করেছি। বিজেপিকে ফলো করে ওরাও তাই করেছে। কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে খাওয়া দাওয়া আমরা শুরু করেছি, ওরাও করা শুরু করেছে। আমাদের চিরদিনই কর্মীদের বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করা হয়। তাতে খরচাও কমে, সম্পর্কও বাড়ে। এটা আমাদের সংস্কারের মধ্যে আছে। এটা ভারতীয় পরম্পরা, অতিথিকে স্বাগত করা। সেটা রাজনৈতিক কাজের জন্য যেন ব্যবহার করা না হয়।
আরও পড়ুন: দোকানে চলছিল আলোচনা, কান পেতে শুনে যা করলেন বীরভূমের চা বিক্রেতা, তারিফ করছে সকলে...
4. ১৫-১৮ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়া নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন:
এটা সরকারের হাতে নাই। যতক্ষণ না বিশেষজ্ঞরা নির্দেশ দেবেন, ততক্ষণ বাচ্চাদের টিকা দেওয়া সম্ভব নয়। এটা স্পর্শকাতর বিষয়। বিভিন্ন উন্নত দেশে শুরু হয়েছে। বাচ্চাদের টিকা দেওয়া নিয়ে এখনও দ্বিমত আছে।