সেন্সর ইস্যু
দলীয় কর্মীদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারবেন না দল বিড়ম্বনায় পড়ছে? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ''আমি জানি না এ ধরনের চিঠি মিডিয়াতে কী করে আসে। এটা মিডিয়ার ব্যাপার না। সংগঠনের ব্যাপার। চিন্তার ব্যাপার আছে এর মধ্যে, আমার কিছু করার নেই। যারা এ ধরনের খবর প্রচার করছেন, তারা উত্তর দিতে পারবেন। আমি এখনও চিঠি পাইনি। এটা পার্টির ব্যাপার, যারা চিঠি লিখেছেন তারা জানেন। মিডিয়ার মাধ্যমে আমাকে খবর দেওয়া হবে কিনা জানিনা ।
advertisement
আটটা রাজ্যের দায়িত্ব পেলেন, তারপরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ব্যাপার! দিলীপের জবাব, ''যারা আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন, কাজ দিয়েছেন, সত্যি সত্যি তারা চিঠি লিখেছেন তো? আপনারা জানেন এর আগে একাধিক চিঠি ভাইরাল হয়েছে। মিডিয়াতে আপনারা দেখেছেন অনেকে। আবার আমাকে বিস্তারিত বলতে হয়েছে। প্রেসিডেন্ট পাল্টে যাচ্ছিল, চিঠিতে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।''
বাবুল সুপ্রিয় প্রসঙ্গে
দিলীপ ঘোষের বাণীর প্রাতঃকৃত্য হয়, তার থেকে সাধারণ মানুষ মুক্তি পেলেন। এমনই মন্তব্য করেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ''কী বলব যে ন্যাশনাল লিগ ছেড়ে প্রাইমারি লিগে খেলছেন, তার কথা কেউ পাত্তা দেয় না। রিজেক্টেড মাল একটা।''
সংবাদ মাধ্যমের সামনে সংযম
সংযত থাকার বিষয়ে বলা হয়েছে। আমি চিরদিনই আছি। আমি প্রয়োজনের বাইরে বলি না। আমার বিরোধী পার্টি তার ভুলভ্রান্তি অকর্মণ্য আওয়াজ তুলি। লোক আমাকে বিরোধী বিরোধীপক্ষের নেতা বানিয়েছে। আমি জীবনে কোনদিন রাস্তা আটকাইনি আর আমি নিজের রাস্তা নিজে তৈরি করেছি। সেই রাস্তাতেই চলব।। দল বিড়ম্বনায় পড়ছে কিনা তা দেখার জন্য দলে লোক আছে। তারা দেখবেন পার্টির কর্মী তারা আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন, আমি তা পালন করব।
আরও পড়ুন: অনুষ্ঠান শুরুর আগেই এসেছিল পুলিশ, ভাঙে ছাত্রের হাতও! নজরুল মঞ্চে ঠিক কী ঘটেছিল?
কুণাল ঘোষ প্রসঙ্গে
কুণাল ঘোষ আমাকে নিয়ে চিন্তিত থাকে, আমি কুণাল ঘোষকে বলব, আপনি নিজের পার্টি নিয়ে চিন্তা করুন। আপনার ভালো হবে, পার্টির ভালো হবে।
বোমার হোম ডেলিভারি প্রসঙ্গে
বর্ধমানে বোমা হোম ডেলিভারি হত। এতদিন দুয়ারে সরকার ছিল। দুয়ারে দুয়ারে ধর্ষণ। নতুন নতুন প্রকল্প রাজ্য সরকার দিচ্ছে, কোথায় প্রশাসন পৌঁছচ্ছে। হোম ডেলিভারি বোমা হয়ে যাচ্ছে। হাতবোমা পাওয়া যাচ্ছে। পাইকারি হারে তৈরি হচ্ছে। সরকারের যে শিল্পী মারা গেলেন, অবস্থার জন্য এই ধরনের সরকারের কোনো পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছি না। আইনশৃঙ্খলার কথা ভাবুন, আপনার সঙ্গে যদি আমার ঝগড়া হয়, আমি অনলাইনে বোমা এনে আপনার বাড়িতে এনে দেব! কী করে সাহস পায়। কারা করাচ্ছে। শুধু ভারতবর্ষ কেন, সারা বিশ্বের সন্ত্রাসবাদীরা এখানে এসে আশ্রয় নিচ্ছে। যত অপকর্ম এখান থেকে করছে। জাল নোট পশ্চিমবঙ্গ থেকেই যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে আসছে। সোনা পাচারের সবচেয়ে বড় কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গ। কেন এরকম হবে? কেন সরকার কী করছে? তাহলে নির্বাচিত সরকার কেন সামলাতে পারছে না? ইচ্ছে নেই না কী সরকার তাদের স্বার্থে এটা করাচ্ছে? এই প্রশ্ন আজ সবার মনে এসেছে।
মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা
মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা থেকে কড়া বার্তা দিচ্ছেন। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এসব কথাবার্তা অনেকদিন আগে থেকে শুনে আসছি। লাভ কী আছে, ঠিকাদারি সমস্ত নেতাদের ভাই, ভাইপো ,শালা, ভাগ্নে তারা ঠিকাদারি চালাচ্ছে। এর আগে যারা ঠিকাদার ছিলেন, এবার তারা কাউন্সিলর হয়েছেন। আগামী দিনে এমএলএ, এমপি হবেন। এসব লোক দেখানোর জন্য বলা হচ্ছে। পুরো ব্যাপারটাই ঠিকাদার আর কাটমানিতে চলে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: শেষ শব্দেও শুধুই ভালোবাসা, ঈশ্বর-স্মরণ! যা বলেই 'আলবিদা' জানালেন কেকে...
পঞ্চায়েত ভোট
পঞ্চায়েত ভোট বর্ষার পরে হয়তো হয়ে যাবে। চার মাস কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। এরকম ইঙ্গিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উনিত চাইলে নাও করতে পারেন। দু-তিন বছর ধরে মিউনিসিপ্যালিটি নির্বাচন করেননি। যখন রাজনৈতিক সন্ত্রাসের মধ্যে তার পরিবেশ তৈরি হয়েছে তখন করলেন। রাজ্য নির্বাচন কমিশন ওদের বাড়ির চাকর বাকর মনে করে। তাকে দিয়ে যা ইচ্ছা করিয়ে নিচ্ছে। গণতন্ত্র, সংবিধান কোথায়?