কী বললেন দিলীপ ঘোষ? এদিন ওই বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ''২০২৪ সালে লোকসভা ভোট তো হবেই, আর রাজ্যের যা অবস্থা, তাতে বিধানসভা ভোটও হলে হতে পারে।'' তাঁর এই মন্তব্যকে স্বভাবতই বিশেষ ইঙ্গিতিবাহী বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ। বঙ্গ বিজেপির দাবি মতো ধোপে টেকেনি বিজেপির রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি। বরং ক্রমাগত সামনে আসছে বিজেপির অন্দরের কোন্দল।
advertisement
আরও পড়ুন: দিঘা যাচ্ছেন? আপাতত সমুদ্রে নামা বারণ, পর্যটকরা তাই ছুটছেন এই পরিচিত বিচে!
এহেন অবস্থায় বিরোধী দলনেতা ও তার পর দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, সম্ভবত বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার দিকেই নির্দেশ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই কারণেই সময়ের বহু আগেই বিধানসভা নির্বাচনের কথা বলেছেন তিনি। আর তাঁর কথাকেই কার্যত সমর্থন করলেন দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা মোদি সরকারের, রাষ্ট্রদ্রোহ আইন স্থগিতের নির্দেশ! এবার?
এদিকে, বিজেপির সঙ্গে সুর মিলিয়েই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কিন্তু বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন যে হবে না, তা কার্যত স্পষ্ট করে দিয়েছেন খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। বঙ্গ সফরে এসে কলকাতায় দলীয় বৈঠকে ৩৬৫ ধারা জারির প্রস্তাব সরাসরি নাকচ করেন তিনি। অমিত শাহ বলেন, ‘বিপুল ভোটে জিতে তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ৩৫৬ ধারা জারি করে একটা নির্বাচিত সরকারকে ফেলা যায় না। রাজনৈতিক ভাবে বাংলার শাসকদলের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করতে হবে।’ তাই খোদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর এহেন বক্তব্যের পর বিরোধী দলনেতার বিস্ফোরক দাবিকে ঘিরে কার্যত তোলপাড় পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
