দিঘাতে বিধিনিষেধ জারি। নামা যাচ্ছে না সমুদ্রে। শখ মেটাতে তাই উদয়পুরে বাঙালি পর্যটকরা। দিঘা ঘুরতে এসে সমুদ্রস্নানের জন্য উদয়পুরে পর্যটকদের ঢল। সেখানে কোন বিধিনিষেধ নেই। অশনি সতর্কতায় রাজ্যের উপকূলবর্তী সমুদ্রতটে যখন বিধি-নিষেধ, সর্তকতা। উদয়পুরে তখন অন্য ছবি। পর্যটকরা আসছেন, সমুদ্রের নামছেন, স্নান করছেন।
অশনির জেরে ফুলে ফেঁপে উঠবে সমুদ্রের ঢেউ, তা দেখার আশাতেই মান্দারমনিতে থেকে গিয়েছিলেন সৈকতে বেড়াতে আসা বহু পর্যটকই। কিন্তু অশনির দাপট কমে যাওয়ায় সমুদ্র ফুলেফেঁপে ওঠেনি। সমুদ্রের সেই রূপ দেখতে না পেয়ে হতাশ পর্যটকরা। তবে দুর্যোগ না নামায় মানুষের ক্ষতি না হওয়ায় স্বস্তিও পাচ্ছেন সকলে!
অশনির ভয় কাটছে ধীরে ধীরে। ক্রমশ স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি। তারই মধ্যে পুলিশের নিষেধাজ্ঞা জারির ফলে পর্যটকরা সমুদ্র থেকে দূরেই রয়েছে।
অশনি প্রভাবে সুন্দরবন উপকূলবর্তী এলাকায় নদী বাঁধ ভাঙনের আশঙ্কা। বুধবার যেসব দুর্বল নদী বাঁধগুলি আছে, সেখানে গোসাবা ব্লক আধিকারিক বিশ্বনাথ চৌধুরী বিপর্যয় মোকাবিলা প্রতিনিধিদের নিয়ে সেইসব এলাকা ঘুরে দেখলেন। যেখানে নদী বাঁধ দুর্বল, ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সকলে, সেখানে সেচ দফতরের কর্মীদের নিয়ে দ্রুত বাঁধ মেরামতের কাজে হাত লাগিয়েছেন।
ধীরে ধীরে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ভাঙড়ে। সকালের দিকে রৌদ্রোজ্জ্বল পরিবেশ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দফায় দফায় মুষলধারায় বৃষ্টির পাশাপাশি প্রবল বেগে ঝড় হচ্ছে ভাঙড়ের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে। দুপুরের পর থেকেই আকাশে মেঘ থাকায় অন্ধকারচ্ছন্ন পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বৃষ্টির মধ্যেই কাজে বেরিয়ে সমস্যায় পড়েছে সাধারণ মানুষ।