সম্প্রতি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফরের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে বৈঠকের পর গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন বা জিসিপিএ 'র প্রধান নেতা অনন্ত মহারাজ দাবি করেন, কোচবিহারকে কেন্দ্রশাসিত এলাকা ঘোষণা এখন সময়ের অপেক্ষা। একই সঙ্গে গোর্খাল্যান্ডের দাবি তোলা বিমল গুরুং বলেন, পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে কেন্দ্রের ডাকা বৈঠকে তিনি যোগ দেবেন।
অনন্ত ও গুরুংদের এই মন্তব্য প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ''ওঁরা ওদের দাবির কথা বলতেই পারেন। উত্তরবঙ্গে এরকম আলাদা আলাদা দাবিতে আন্দোলন করা একাধিক সংগঠন আছে। কখনও কখনও এদের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতাও করতে হয়। কিন্তু, তা নির্বাচন পর্যন্তই। বাকি সময় তারা তাদের মত কাজ করে৷ "
advertisement
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটে কৌশলী বঙ্গ বিজেপি! মনোনয়নের দিন নিয়ে বড় পরিকল্পনা
অনন্ত, গুরুং দের প্রসঙ্গে দিলীপের এই মন্তব্যের জেরে রাজ্যভাগ ইস্যুতে বিজেপির বিরুদ্ধে মদত দেওয়ার অভিযোগের বিষয়টিতে নতুন করে আবার বিতর্ক তৈরি হল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজ্যে ২৪ এর লোকসভা ভোটের বাজনা বাজতে শুরু করেছে। সারা দেশের সঙ্গে এ রাজ্যের গোর্খাল্যান্ড, কামতাপুরী, রাজবংশী, গ্রেটার কোচবিহারের দাবিতে আন্দোলনকারী তথাকথিত বিচ্ছন্নতাবাদী সংগঠনগুলিও বরাবরই এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করে। ভোট যত এগোবে, এই পরিস্থিতির সুযোগে কেন্দ্র - রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে দরকষাকষি করে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করবে। একই সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলিও নির্বাচনী সমঝোতার নামে তাদের ভোটব্যাঙ্ককে ব্যবহার করে দলের আসন বাড়ানোর চেষ্টা করবে। দু তরফের এই সুবিধাবাদী রাজনীতিকেই সম্ভবত মনে করিয়ে দিতে দিলীপ বলেন, '' কয়েকদিন আগে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে চা খেয়ে তখন কি অনন্ত এই কেন্দ্র শাসিত এলাকার কথা বলেছিলেন? গুরুং তো দিদিমনির লোক। তিনি এখন এসব বলছেন কেন? "
আরও পড়ুন: মাইলস্টোন রাজ্যের, নলবাহিত জল পৌঁছে গিয়েছে ৫০ লক্ষ বাড়িতে, সময়ের আগেই লক্ষ্যপূর্ণ
রাজ্য বিজেপির এক নেতার মতে, অনন্ত, গুরুং সম্পর্কে দিলীপ ঘোষ যা বলেছেন, সেটা একেবারে ঠিক। ভুল একটাই, উনি অনন্ত, গুরুং-এর সুবিধাবাদী রাজনীতির পর্দা ফাঁস করতে গিয়ে দলের অবস্থান নিয়েও বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন। এখন রাজ্যভাগ নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করা তৃণমূল ও বাম, কংগ্রেস, দিলীপের এই বক্তব্যকেই ঢাল করতে চাইবে।