মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ এও বললেন,' পরীক্ষার্থীরা পাস করলে তো চাকরি পায়। এটাই স্বাভাবিক নিয়ম। আমাদের স্পষ্ট দাবি,' যারা টেট পাশ করেছেন তাদের প্রত্যেককে চাকরি দিতে হবে। যদি পাস করার পর চাকরিই দিতে না পারে সরকার তাহলে বছরে দুবার করে পরীক্ষার ব্যবস্থা করে কী লাভ? এই প্রশ্ন তুলে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য,'যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করে মোটা টাকার বিনিময়ে অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হয়েছে এটা আজ প্রমাণিত'।
advertisement
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালের সাংবাদিক বৈঠকের পরপরই সরকারকে এক হাত নেন দিলীপ ঘোষ। ২০১৪ র প্রাথমিকের নন ইনক্লুডেড চাকরি প্রার্থীরা নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছেন। মঙ্গলবার সেই চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশ্যেই স্পষ্ট বার্তা দেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। গত কয়েক বছরের প্রাথমিকের টেট ও নিয়োগের পরিসংখ্যান উল্লেখ করে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন টেট উত্তীর্ণ মানেই নিয়োগ নয়। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে ২০১৪ থেকে এখনও পর্যন্ত নিয়োগের পরিসংখ্যান, কত সংখ্যক টেট উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী রয়েছেন তার বিস্তারিত পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, 'আমি চাইব এই বছরের মধ্যেই টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ দিতে। শুধু তাই নয়, জানুয়ারি মাসে আবার আমরা নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেব।'
আরও পড়ুন : গরুপাচার মামলায় আদালতে বড় ধাক্কা ইডির! সায়গলকে দিল্লি নেওয়ার আবেদন খারিজ
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে পর্ষদ সভাপতি জানান, 'টেট ২০১৪ এ ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৯৫২ জন উত্তীর্ণ হয়েছিলেন ২০ লক্ষের বেশি পরীক্ষার্থীদের মধ্য থেকে। নিয়োগের জন্য ১.১৮ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী রয়েছেন। তিনি আরও জানান, ২০২০-২১ এ ১৬৫০০ জনের নিয়োগের জন্য সরকার শূন্যপদ দিয়েছিল। ১৩৬৮৫ জন কে এম্প্যানেলেড করা হয়েছিল। এর মধ্যে চাকরিতে যোগ দেন ১৩৫৬৪ জন। একইসঙ্গে গৌতম পাল জানান, "জানুয়ারি মাসে আমরা আবার নিয়োগ এর জন্য পোষ্ট চাইব।তবে টেট পাস করা মানে চাকরি করা, এটা ঠিক নয়। টেট ২০১৪, ২০১৭ সালে পাস করেছি বলেই চাকরি পাবো সেটা ঠিক নয়। আর এর পরই প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথায়, 'টেট উত্তীর্ণ হলে যদি চাকরিই না পাওয়া যায় তাহলে টেট নেওয়ার মানে কি?