TRENDING:

Dilip Ghosh: 'তৃণমূলের লোকেরা যেন শিয়ালদহ মেট্রো না চড়ে, তাহলেই...', শর্ত দিলেন দিলীপ ঘোষ! কারণ কী?

Last Updated:

Dilip Ghosh: শিয়ালদহ মেট্রো উদ্বোধন সোমবার। এই নিয়ে তৃণমূল বলছে, মুখ্যমন্ত্রী যখন বাইরে যাচ্ছেন তখনই উদ্বোধন করা হচ্ছে। আমন্ত্রণ জানানো হয়নি তাঁকে। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ''কেন্দ্র সরকার টাকা দিচ্ছে, বানিয়ে দিচ্ছে, তারা উদ্বোধন করবে, ওর (মমতা) তো কেন্দ্রের টাকা দরকার। ওটা নিয়ে নিন, বাকি তো কোনও সৌজন্যবোধ নেই।''

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: চালু হয়ে যাচ্ছে শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশন। আর দীর্ঘদিনের এই অপেক্ষার শেষ লগ্নে এসে দেখা দিয়েছে বিতর্ক। গুরুত্বপূর্ণ এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডাকই পাননি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। যদিও ওই প্রকল্প বাস্তবের আলো দেখেছিল মমতা রেলমন্ত্রী থাকার সময়ই। স্বাভাবিক কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের এই 'অসৌজন্য' নিয়ে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। এবার তৃণমূলকে পাল্টা দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
দিলীপের নিশানায় মমতা
দিলীপের নিশানায় মমতা
advertisement

শিয়ালদহ মেট্রো উদ্বোধন সোমবার। এই নিয়ে তৃণমূল বলছে, মুখ্যমন্ত্রী যখন বাইরে যাচ্ছেন তখনই উদ্বোধন করা হচ্ছে। আমন্ত্রণ জানানো হয়নি তাঁকে। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ''কেন্দ্র সরকার টাকা দিচ্ছে, বানিয়ে দিচ্ছে, তারা উদ্বোধন করবে, ওর (মমতা) তো কেন্দ্রের টাকা দরকার। ওটা নিয়ে নিন, বাকি তো কোনও সৌজন্যবোধ নেই। এখানে রাজ্য সরকারের এত অনুষ্ঠান হয়। প্রশাসনিক বৈঠক হয়, কোনও দিন ভুল করেও আমাদের একটা চিঠি দিয়েছে জানিয়েছে, আপনারা আসুন? আমরা তো নির্বাচিত প্রতিনিধি, সাধারণ মানুষ আমাদের দেখেছে। এখানকার উন্নয়নে আমাদের অংশগ্রহণ ও মতামতের প্রয়োজন আছে। অধিকার আছে। কিন্তু তৃণমূল কোনও দিন ডাকে না। প্রশাসনিক বৈঠকটাকে পার্টি বৈঠক করে নিয়েছে। সেখানে কেন ডাকবে না? আমরা নির্বাচিত প্রতিনিধি। সেই জন্য ওদের সঙ্গেও এ রকমই ব্যবহার করা ঠিক। ঠিক করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আমি বলছি, কোনদিন যেন না ডাকে।''

advertisement

আরও পড়ুন: তৈরি নিম্নচাপ, বাংলার আবহাওয়ার আসছে বিপুল বদল! বৃষ্টি নিয়ে বড় সতর্কতা

শিয়ালদহ মেট্রো নিয়ে তৃণমূল বলেছে বিজেপি মানুষের জন্য নয়, নিজেদের জন্য আর পার্টির জন্য। আর শিয়ালদহ মেট্রো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাব করেছিলেন আর মানুষ সবটাই জানে। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ''প্রস্তাব তো উনি করেন। ভানু যেমন করতেন, এখানে ধর্মশালা বানিয়ে দেব, যমালয়ে গিয়ে বলেছিলেন আমি এই বলে এসেছি, এই করেছি, করেনি কেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকতে হাজার হাজার পাথর লাগিয়েছিলেন, তার নামটা দেওয়ার জন্য। করতে পারেননি কিছুই। এখন বিজেপি করছে। ওর যদি এরকম মনে হয়, তাহলে এই মেট্রোতে তৃণমূলের লোকেরা যেন না চড়ে। আমি বলছি এটুকু যদি তোমাদের মান মর্যাদা থাকে, কেন্দ্রের জিনিস নেবে না, তাহলে চড়বে না ওখানে, তাহলে বলবো বাপের বেটা।''

advertisement

আরও পড়ুন: রথের মেলায় হঠাৎ বিকট আওয়াজ, ফেটে গেল বেলুনের গ্যাস সিলিন্ডার! রক্তে ভাসল দাসপুর

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
একই দিনে হাওড়ায় দু'টি বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড! ভয়াবহ রূপ নিল লেলিহান শিখা, অল্পের জন্য রক্ষা
আরও দেখুন

উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগরে কলেজ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা প্রসঙ্গও এদিন তৃণমূলকে প্রবল আক্রমণ শানান দিলীপ ঘোষ। বলেন, ''এখন যেমন রাস্তার ধারে সব জায়গায় সবজি পাবেন, সেইরকম আগ্নেয়াস্ত্র পশ্চিমবাংলার সব জায়গায় পাবেন। তাই আপনার, টাকা দিন লোক আছে পৌঁছে দিয়ে যাবে। তারপর যা ইচ্ছা করুন, যে সে মেরে দিচ্ছে যাকে তাকে। যেখানে সেখানে গুলি চলছে। আজকে যখন তৃণমূলের লোকেরা মারা যাচ্ছে, তখন চিৎকার করছে, যখন বিজেপির লোকেরা মারা যাচ্ছিল, কোন সমস্যা ছিল না। সাধারণ মানুষ মারা যাচ্ছিল কোন সমস্যা ছিল না, আজকে নিজেরা মারামারি করে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মরছে। কারণ সবাই অ্যান্টি সোশ্যাল। তখন তৃণমূলের চিন্তা হচ্ছে দিদিমণি একবার বলে দিলেন অস্ত্র উদ্ধার করো। কিছু পুরনো ভাঙা অস্ত্র পুলিশ যেগুলো রেখেছিল, সেগুলো বার করে দেখিয়ে দিলেন। আসল অস্ত্র যেখানে তৈরি হচ্ছে, যাদের হাতে আছে, কেউ হাত লাগাচ্ছে না। একাধিকবার ধরা পড়েছে, মুঙ্গের ইত্যাদি এসব জায়গায় অস্ত্রের কারখানা চলতো আগে, তাদের কারিগররা খুব এক্সপার্ট হয়, যেমন হাতিয়ার দেবেন বানিয়ে দেবে তারা। এখন তারা পশ্চিমবঙ্গে এসে ঢুকেছে, এখানকার পুলিশ গায়ে হাত দেবে না। এখান থেকে বিহার, উত্তর প্রদেশ ও বাংলাদেশেও অস্ত্র যাচ্ছে।''

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Dilip Ghosh: 'তৃণমূলের লোকেরা যেন শিয়ালদহ মেট্রো না চড়ে, তাহলেই...', শর্ত দিলেন দিলীপ ঘোষ! কারণ কী?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল