প্রাতঃভ্রমণে এসে তিনি বলেন, ''শরদ পাওয়ারের টেররিস্টের সাথে যোগাযোগ ছিল। এই রকম একজন রাষ্ট্রপতি হলে দেশে টেররিজম বাড়বে। কেউ মুরগি হতে চাইবে না। শরদ পাওয়ারের যা বয়স, তাতে তিনি রাজি হচ্ছেন না। দিদি ভাবছে সবাই যদি ওঁকে একবার বলে, তাহলে উনি রাজি হয়ে যাবেন। কিন্তু ওঁর নাম কেউ বলছে না।'' এই বৈঠকে ১৮টি পার্টি যোগ দিয়েছে, কিন্তু তাদের অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন দিলীপ ঘোষের। মুখ্যমন্ত্রীর অল ইন্ডিয়া লিডার হওয়ার ইচ্ছা দীর্ঘ দিনের বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।
advertisement
সিবিআই-এর প্রতি মানুষ আস্থা হারাচ্ছে, এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, ''কোর্ট আদেশ দিয়েছে তাই সিবিআই তদন্ত। যে টুকু আস্থা তা সিবিআই তদন্তের উপরেই আছে মানুষের।'' বিরোধী ঐক্য নিয়েও কটাক্ষ করে দিলীপ বলেন, ''১৯ এর নির্বাচনের আগে বিরাট র্যালি হয়েছিল। বহু নেতা এসেছিল। তারা সব কোথায়? বিশ্বস্ত কোনো নেতা নেই ওদের।''
আরও পড়ুন: ধর্মতলাতেই কি ফিরছে ২১ জুলাই সমাবেশ? আগামিকাল প্রস্তুতি বৈঠক তৃণমূলের
কেন্দ্রের দারস্থ তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, ''চা খেয়ে আসুন। রাজ্যে রোজ ঝামেলা। এসএসসি, টেটের ধর্ণা চলছে। আমরা আন্দোলন করছি। এসব থেকে বাঁচতে উনি দিল্লি গিয়েছেন।'' রাজ্যের ৪২ টি লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির পর্যবেক্ষক নিয়োগ নিয়েও দিলীপ ঘোষ বলেন, ''পার্টি ২৪ সালের নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। ভালো ফল করতে হবে। সেই কারণেই অভিজ্ঞ নেতা, মন্ত্রীদের কাজে লাগানো হয়।''
আরও পড়ুন: অতিভারী বৃষ্টি, জারি কমলা সতর্কতা! উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে প্রবল দুর্যোগের আশঙ্কা
তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লার অভিযোগ সিবিআই আসলে বিজেপির চক্রান্ত। এ প্রসঙ্গে পাল্টা দিলীপের কটাক্ষ, ''যেখানে যত দাগী লোক সব তৃণমূল। তারাই সরকার চালাচ্ছে। তাহলে ভাবতে হবে পার্টিটা কোথায় আছে।''