ফিরহাদ হাকিম বলেছেন পুলিশের জন্য রাস্তায় হকার বসছে। এতে ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে শহরের। এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ''পুলিশের জন্য হকার বসছে, পার্টির লোকের জন্য কাটমানি হচ্ছে, সরকার কী করছে ।পুলিশ কার হাতে? আপনারা পুলিশকে দিয়ে তোলা তোলাবেন ,গরুর গাড়ির থেকে, বালির গাড়ির থেকে, কয়লার গাড়ি থেকে পুলিশ টাকা তুলে দেবে। পুলিশ আপনাদের কথা শুনবে কেন? পুলিশকে কে কন্ট্রোল করে, মুখ্যমন্ত্রীর হাতে পুলিশ আছে। পুলিশকে আপনারা কিছু করতে দেবেন না হাত-পা বেঁধে দিয়েছেন শুধু নিজের পার্টির কাজ করাবেন। পুলিশ তার নিজের কাজ ভুলে গেছে পার্টির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হচ্ছে, পুলিশ সেটা গিয়ে ঠেকাচ্ছে। এটা পুলিশের কাজ নাকি। পুলিশ তার কাজ করবে কেন, তারাও পয়সা কামাচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: জোরকদমে উঠল দিলীপ ঘোষের গ্রেফতারির দাবি, প্রসন্ন রায়ের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
সোনারপুরে শ্যুট আউটের ঘটনা ঘটেছে শনিবার। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ''শ্যুট আউট কোনও ঘটনা নয়, এটা প্রতিদিন হয়। এমন কোনও দিন নেই। গত এক দেড় মাস ধরে শ্যুট আউট আর বোম ব্লাস্ট হচ্ছে। একেক দিন দুই এক তিন জায়গা থেকে খবর আসছে। অবৈধ অস্ত্রশস্ত্র বোমা বারুদে সারা পশ্চিমবঙ্গ ভরে গেছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এই পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যেটা কন্ট্রোল করতে পারছে না পার্টি আর গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণ হচ্ছে যারা এই ধরনের সমাজবিরোধী তারা পার্টির মধ্যে ঢুকে অ্যান্টিস্যোশাল কাজকর্ম করছে আর নিজেদের মধ্যে মারপিট ভাগোয়ারা তাই নিয়ে গোলাগুলি হচ্ছে। পুলিশ কাকে ধরবে সবই এরকম লোক তাহলে পার্টি উঠে যাবে। পুলিশ চুপ করে দেখছে, তারা কেন রিস্ক নিতে যাবে। তারাও পয়সা কামাচ্ছে।''
আরও পড়ুন: খুন করে ছেলে, দেহ ছ’টুকরো করে মায়ের সঙ্গে মিলে! বারুইপুর খুনে হাড়হিম তথ্য
ববি হাকিম বলেছেন ইন্দিরা গান্ধির অসমাপ্ত কাজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করতে পারবেন। এ বিষয়ে দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, ''সে দিকেই নিয়ে যাচ্ছেন। এমার্জেন্সি হবে যাতে পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রকে শেষ করা যায়, সেটা করেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চলে যাবেন।''
ফিরহাদ হাকিম এও বলেছেন, বিভিন্ন অস্ত্র উদ্ধার ও বোমা উদ্ধারে পুলিশ প্রশংসার কাজ করছে। বিজেপি গন্ডগোল পাকানোর জন্য বোমা মজুদ করেছে। তৃণমূল কংগ্রেস জড়িত নয়। কী বলবেন। এই প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষের পাল্টা দাবি, ''পুলিশ যদি বোমা উদ্ধার করত তাহলে এত ফাটছে কী করে? হয়ত অন্য জায়গাতে উদ্ধার করছে, তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে যে অবৈধ বোমা বন্দুক আছে সেটা উদ্ধার করছে না। গন্ডগোল সেখানেই হচ্ছে। যেখানে বোমা ব্লাস্ট হচ্ছে, লোক মারা যাচ্ছে। তারপরে খবর হচ্ছে। আপনারা লোককে জানাচ্ছেন, জানতে পারছে লোক। যেখানে রেইড করবে সেখানেই পাওয়া যাবে। কেন পুলিশ করছে না? পুলিশ সব জানে। পুলিশের মাধ্যমেই অস্ত্রশস্ত্র আসছে পুলিশকে জানিয়ে আসছে। তাই সব জায়গায় ভরে গেছে।''
পঞ্চায়েত নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হবে এমনটাই বলেছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, ''উনি গতবারেও বলেছিলেন। গতবারে যেটা হয়েছে অবৈধ আর শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছিল বলছে, অথচ ৩০-৪০ জন মারা গেছিল। বোম, বন্দুক দিয়ে নমিনেশন করতে দেওয়া হয়নি। ঠিক সেই রকম শান্তিপূর্ণভাবে করতে চাইছেন। এবারে আগে থেকেই বোম বন্দুকের আওয়াজ আসছে ,আরো ভয়ঙ্কর হবে।''