কয়েকদিন আগে নেতাদের তৃণমূল থেকে ফের একবার বঙ্গ বিজেপিতে ফেরা নিয়ে জল্পনা উস্কে দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দাঁতনের রাজনৈতিক সভামঞ্চ থেকে দিলীপ ঘোষের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য ছিল, 'আমাদের পার্টি ছেড়ে কয়েকটা বিধায়ক গিয়েছে না ওই দিকে, দেখবেন, সব আসবে৷ সুদ সমতে পাঁচটা-সাতটা নিয়ে আসবে৷ দেখবেন বলবে, দাদা আমাকে চেয়ারম্যান করে দিন, পাঁচ পিস এনেছি, আমাকে মন্ত্রী করে দিন, সাত পিস এনেছি'। যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আগেই জানিয়েছেন , "তৃণমূল থেকে যারা বিজেপিতে এসেছিলেন আবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে চলে গিয়েছেন, এমন অনেকেই ফের বিজেপিতে আসার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। তবে আমরা সেই সমস্ত তৃণমূল নেতাদের আর নেব না। কারণ আমরা মনে করি তৃণমূল নেতা মন্ত্রীরা সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত। আমরা আগ্রহী কর্মীদের নিতে। তৃণমূল ছেড়ে জেলায় জেলায় অনেক কর্মীই এখন বিজেপি শিবিরে যোগ দিচ্ছেন"।
advertisement
আরও পড়ুন: জাগো বাংলার অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত বাবুল সুপ্রিয়, ‘বিস্মরণ’ নিয়ে চর্চা তুঙ্গে
বঙ্গ বিজেপির বিশেষ জনসংযোগ কর্মসূচি প্রাক পুজো সম্মেলন উপলক্ষে কলকাতার হোস্টিংস দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মিঠুন চক্রবর্তী বলেছিলেন, বিজেপিতে যোগদান করার ব্যাপারে আমার সঙ্গে একুশ জন শাসকদলের বিধায়ক যোগাযোগ রেখেছেন'।
আরও পড়ুন: প্রতারকদের 'টার্গেট' এবার রাজ্যের বিধানসভার 'এই' সদস্য! কে সেই 'বিধায়ক'? শোরগোল!
মিঠুনের এই মন্তব্যে শোরগোল পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। রবিবার বালুরঘাটে দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নিজের বক্তব্যে অনড় থেকে মিঠুন চক্রবর্তীর দাবি, 'তৃণমূলের একুশ জন বিধায়ক আমার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছেন। আমি হাওয়ায় কথা বলি না। ব্যাকআপ নিয়েই কথা বলি'। আর মিঠুন চক্রবর্তীর এই মন্তব্যের পরে পরেই শাসক দলকে ফের একহাত নিলেন দিলীপ ঘোষ।