এ দিন ইকো পার্কে মর্নিং ওয়াক করতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'কলকাতা বা তার আশপাশের এলাকায় লোকসভা, বিধানসভা নির্বাচনেও আমরা ভাল কিছু করতে পারিনি৷ কারণ এই এলাকায় আমাদের সংগঠন খুবই দুর্বল৷ তার উপরে এই সন্ত্রাস চলেছে৷ ফলে পুরভোটে বিরাট সাফল্য পাবো, এ রকম আমরা কেউই ভাবিনি৷ কেউ আশা করেননি খুব ভাল কিছু হবে৷'
advertisement
আরও পড়ুন: পুরভোটে জয়ী নির্দল কাউন্সিলররা কি তৃণমূলে? গুঞ্জনে জল ঢেলে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়...
এর পরেই শাসক দল তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, 'তৃণমূলও জানত ওরা একশোর বেশি আসন পাবে৷ তার পরেও ওরা কেন রিগিং করল? কারণ ওরা বার্তা দিয়ে রাখল যে বাংলার নির্বাচন এ ভাবেই হবে৷ বাকি পুরসভা নির্বাচনগুলির জন্য একটা নমুনা রেখে দিল৷'
দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যে অবশ্য প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক৷ কারণ পুরভোটের প্রচারে দিলীপ ঘোষ সহ বিজেপি নেতারা অনেকেই দাবি করেছিলেন, কলকাতা পুরসভা থেকেই পরিবর্তনের সূত্রপাত হবে৷ যদিও শেষ পর্যন্ত ১৪৪টি আসনে লড়ে মাত্র তিনটিতে জয়ী হয়েছে বিজেপি৷ ভোট প্রাপ্তির নিরিখেও বিজেপি-কে টপকে গিয়েছে বামেরা৷
আরও পড়ুন: মাত্র তিনেই কেন থামতে হল? বিজেপি-র বিপর্যয়ে উঠে আসছে একাধিক কারণ
দিলীপ ঘোষের সঙ্গে আংশিক সহমত পোষণ করেও দলের এই পরিণতির জন্য তৃণমূল থেকে আসা নেতাদের একাংশকে দায়ী করেছেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার৷ তাঁর দাবি, 'দিলীপবাবু যা বলেছেন, সেটা দলের বাস্তব অবস্থা৷ একটি রাজনৈতিক দল নিজেদের মূল্যায়ন করতেই পারে৷ দিলীপ বাবু যেটা বলেননি সেটা হল এই যে কলকাতায় সাংগঠনিক দুর্বলতা কাটাতে আমরা তৃণমূল থেকে আসা কিছু নেতাদের উপরে অতি মাত্রায় নির্ভর করেছিলাম৷'
দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ৷ তাঁর দাবি, 'দিলীপবাবু এটা বলতে বাধ্য হচ্ছেন৷ তার দুটো কারণ৷ প্রথমত, এটা বাস্তব বিজেপি-র সংগঠন নেই এবং তারা দুর্বল৷ দ্বিতীয় কারণ হল, বিজেপি-র খারাপ ফল হওয়ায় দিলীপ বাবু মনে মনে খুশি হচ্ছেন৷ কারণ তাঁকে সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷' তৃণমূল নেতার আরও দাবি, 'শুধু কলকাতা নয়, গোটা রাজ্যেই বিজেপি দুর্বল৷ কারণ ঝাড়গ্রাম সহ যে এলাকাগুলিতে বিজেপি লোকসভায় জিতেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করিয়ে সেসব জায়গাতেও বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-র ভরাডুবি হয়েছে৷'