আরও পড়ুন: কলকাতার 'জবাব' ত্রিপুরায়? বড় পরিকল্পনা নিচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়!
রাজ্যপাল (Governor Jagdeep Dhankhar) তাঁর ট্যুইটবার্তায় লিখেছেন, পেগাসাস কমিশন নিয়ে মুখ্যসচিব উত্তর দিতে ব্যর্থ। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন রাজ্যপাল। পেগাসাস কমিশন নিয়ে দ্রুত রিপোর্ট দিতে বলেন রাজ্যপাল। রাজ্যের নির্ধারিত এই কমিশন নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ৷
advertisement
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই রাজ্যপাল (Dhankhar Writes Letter to Mamata) পেগাসাস কমিশন (Pegasus Commission) এই নিয়ে চিঠি দেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে ৷ এই নিয়ে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠান তিনি৷ উত্তর দেওয়ার সময়সীমাও বেঁধে দেন৷ কিন্তু সোমবার তাঁর অভিযোগ, এই নিয়ে কোনও তথ্যই তাঁকে রাজ্য সরকারের তরফে দেওয়া হয়নি ৷ তাঁর দাবি, আইন অনুযায়ী রাজ্য সরকার তাঁকে এই সংক্রান্ত তথ্য দিতে বাধ্য৷ তাই এবার তিনি চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (CM Mamata Banerjee) ৷ মুখ্যসচিব তাঁকে এই সংক্রান্ত তথ্য দেয়নি বলে তিনি অভিযোগ করেছেন ওই চিঠিতে৷ অবিলম্বে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করেন রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন: ছোট লালবাড়ির দখল নেবে কে? কড়া পুলিশি প্রহরায় পুরভোটের গণনার প্রস্তুতি তুঙ্গে...
উল্লেখ্য সম্প্রতি ফের তুঙ্গে উঠেছে নবান্ন-রাজভবন তরজা। সোমবারই 'মা কিচেন' নিয়ে বিতর্ক উস্কে দিয়েছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের (Dhankhar Writes Letter to Mamata) মন্তব্য। ট্যুইটে মমতা প্রশাসনকে বিঁধে জগদীপ ধনখড় জানান যে তিনি অনেকদিন ধরেই খেয়াল করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু 'মা কিচেন' প্রকল্পটি চালু রাখতে যে তহবিল রয়েছে তা অসাংবিধানিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই মর্মে রাজ্য সরকারের কাছে এই প্রকল্পের খরচের খতিয়ান চেয়ে পাঠিয়েছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান ধনখড়।
শুধু তাই নয় এই মা কিচেনের বরাদ্দ টাকা, খরচের যাবতীয় হিসেবের তথ্য চেয়ে অর্থদফতরের মিনিস্টার-ইন-চার্জ ড. অমিত মিত্রকে সময় বেঁধে দিয়েছেন ধনখড়। রাজ্যপাল জানিয়েছেন, ৩১.৩.২০২১ পর্যন্ত মা প্রকল্পে কত খরচ হয়েছে সেই তথ্য দিতে হবে, এই খরচের মূল উৎস এবং সেই ফান্ড কোন অথরিটি অনুমোদন দিয়েছে সেই তথ্যও চেয়েছেন রাজ্যপাল।