পরিবেশবিদ সোমেন্দ্রমোহন ঘোষ বললেন, "আমরা কোনও দিনই এর বিরোধিতা করিনি। আমাদের একটাই দাবি ছিল, জাতীয় লেকের মর্যাদাপ্রাপ্ত রবীন্দ্র সরোবর যেন ডিজেল চালিত বোট থেকে দূষিত না হয়। আমাদের আপত্তির এটাই ছিল মূল কারণ।" শহরের নামজাদা পরিবেশবিদ এও বলেন, "আমরা শুনছি ফলো বোট ব্যাটারি চালিত এবং রবীন্দ্র সরোবরে রোয়িংয়ের সময় যদি কোনও বিপর্যয় বা দুর্ঘটনা ঘটে সেক্ষেত্রে পেট্রোল চালিত রেসকিউ বোটকে আপৎকালীন পরিষেবার কাজে লাগানো হবে। আমরা মনে করি ডিজেলের থেকে পেট্রোলে দূষণ কিছুটা কম। তবে উভয় ক্ষেত্রেই যদি ইলেকট্রিক তথা ব্যাটারিচালিত বোট ব্যবহার করা হয় সে ক্ষেত্রে আরও পরিবেশবান্ধব হবে। দূষণের হাত থেকে বাঁচানো যাবে রবীন্দ্র সরোবরকে।"
advertisement
আরও পড়ুন- যত ইচ্ছে Luggage নিয়ে ট্রেনযাত্রা আর নয়! নতুন নিয়ম চালু করল ভারতীয় রেল! জানুন...
রবীন্দ্র সরোবর লেকে প্রতিদিন সকালে মুক্ত বাতাস নিতে যাঁরা যান, সেই সমস্ত প্রাতঃভ্রমণকারীদের কথায়, আগামী দিনে পরিবেশ আদালতের যা নির্দেশ, আশা করি প্রশাসন তাই মেনে চলবে। রোয়িংয়ের সময় কালবৈশাখীর তাণ্ডবে সম্প্রতি প্রাণ হারায় দুই ছাত্র৷ মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটার পরই রবীন্দ্র সরোবরে রোয়িং নিয়ে ইতিমধ্যেই গাইডলাইন (SOP) প্রকাশ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, এসওপি পাঠিয়ে রোয়িং ক্লাবগুলোকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে কেএমডিএ ও কলকাতা পুলিশ। রবীন্দ্র সরোবরে রোয়িং করতে গিয়ে দুই ছাত্রের মৃত্যু ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠেছিল। এই ঘটনার জেরে ক্লাবগুলির নানা গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। শেষমেষ দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা। রবীন্দ্র সরোবর লেকে রোয়িং করতে গেলে নির্দিষ্ট গাইডলাইন মানতেই হবে। না হলে রোয়িংয়ের অনুমতি দেওয়া হবে না। রোয়িংয়ের সময় দুই তরতাজা কিশোরের মৃত্যুর পর কেএমডিএ এবং পুলিশ যৌথভাবে তৈরি হয়েছে৷ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, রোয়িং শুরু করার আগে প্রশাসনের কাছে ক্লাবগুলোকে নির্দিষ্ট গাইডলাইন মেনে চলার ব্যাপারে যতক্ষণ না পর্যন্ত ক্লাবগুলি সহমত পোষণ করছে ততক্ষণ পর্যন্ত রোয়িংয়ের ব্যাপারে সবুজ সংকেত মিলবে না।