তেমন কোনও হইচই তাঁরা করেননি। বরং সামান্য একটা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট-এর পরও তাঁরা আন্দোলন সংগঠিত করে ফেলেন। ডেলিভারি বয়দের একটা বড় অংশের দাবি, দিনের বেশিরভাগ সময় তাঁদের কাটে রাস্তায়। এতটা সময় কাজ করেও সংসার চালাতে পারছেন না তাঁরা।
আরও পড়ুন- পুজোর মুখে ফের ডেঙ্গিতে মৃত্যু শহরে, বাড়ছে আতঙ্ক
advertisement
ডেলিভারি বয়রা দুটি দাবি তুলেছেন। এক, ডেলিভারি পিছু তাঁদের ন্যূনতম প্রাপ্য বর্তমানে ২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৫ টাকা করে দিতে হবে। ‘বেস ফেয়ার’ না বাড়ালে তাঁদের পক্ষে চালানো মুশকিল হচ্ছে। দুই, অতিরিক্ত কিলোমিটার পিছু ৫ টাকার বদলে দিতে হবে ১০ টাকা করে।
অ্যাপ কর্তৃপক্ষের কাছে এই দুটি দাবি নিয়ে সরব হয়েছিলেন তাঁরা। তবে কর্তৃপক্ষ তাঁদের সেই দাবিকে আমল দেয়নি। ফলে কার্যত বাধ্য হয়েই পুজোর ঠিক আগে তাঁরা ধর্মঘটে নেমেছেন।
ঝড়, জল, বৃষ্টি, রোদে তাঁরাই দুচাকায় খাবার পৌঁছে দেন মানুষের বাড়ি, অফিসের দরজায়। পুজো মানেই খাওয়া-দাওয়া। বলাবাহুল্য, পুজোয় অনলাইন অর্ডারও অনেকটাই বাড়বে। তবে এভাবে ডেলিভারি বয়-রা ধর্মঘটে থাকলে তো মুশকিলে পড়বেন সাধারণ মানুষ!
আরও পড়ুন- 'বিজেপির 'ট্রেনি সভাপতি' কি ভুলে গেলেন...?' সুকান্তকে অতীত স্মরণ করালেন কুণাল ঘোষ
ডেলিভারি বয়দের দাবি, রোজ ১২-১৩ ঘণ্টা কাজ করার পরও তাঁদের পকেটে মেরেকেটে ৪০০-৫০০ টাকা আসছে। মূল্যবৃদ্ধির এই বাজারে কোনও কোনও দিন সেই টাকাটাও আসছে না। ফলে ডেলিভারি বয় হিসেবে কাজ করে অনেকেই সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। তাঁদের দুটি দাবি কর্তৃপক্ষ না মানলে এই ধর্মঘট চলবে বলে জানিয়েছেন ডেলিভারি বয়দের প্রতিনিধিরা।