১০ বছর পর ছ’ঘণ্টার জন্য বাড়িতে আসার অনুমতি পান দেবযানী মুখোপাধ্যায়। অসুস্থ মাকে দেখতে প্যারোলে বাড়িতে যান তিনি। আজ থেকে বছর দশেক আগে ২০১৩ সালে সারদা মামলায় সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
গুরুতর অসুস্থ মা শর্বরী মুখোপাধ্যায়। কিছুদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে ঢাকুরিয়ার বাড়িতে কিছুক্ষণের জন্য মায়ের কাছে যেতে চেয়েছিলেন দেবযানী। সেই মতো সাড়া দিয়েছে আদালত। এতদিন পরে মায়ের পাশে বসলেন দেবযানী। সেই পুরানো বাড়ি, ঘর, বিছানা, খাট সবই আছে আগের মতো। তবে আগোছালো। শুধু এই বাড়ির মেয়েই এত বছর ধরে জেলে।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘প্রিজন ভ্যান’ এসে দাঁড়াল ঢাকুরিয়ার মুখার্জি লেনে… দেবযানী হেঁটে বাড়িতে ঢুকতেই যা ঘটল…!
সারদা কেলেঙ্কারির মতো ভয়াবহ কাণ্ডে অভিযুক্ত। এত বছর পরে মায়ের কাছে বসে ঠিক কী কথা হল মায়ের সঙ্গে? কেমন আছেন তিনি? সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে মুখ খুললেন দেবযানী। উঠল শুভেন্দু অধিকারী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামও। কী বললেন সেই প্রশ্নের উত্তরে দেবযানী?
আরও পড়ুন: আলু তো সবজির ‘রাজা’…! কিন্তু জানেন কি সবজির ‘রানী’ কে? এই ‘নাম’ শুনলে চমকে যাবেন!
সাংবাদিক: মা কেমন আছেন এখন?
দেবযানী: মোটামুটি। ভালো নেই।
সাংবাদিক: কী হয়েছে মায়ের?
দেবযানী : হার্টে স্টেইন বসেছে। একটা জটিল বাজে রোগে ভুগছেন।
কথা বললেন মায়ের সঙ্গে?
দেবযানী: হ্যাঁ
কী বললেন মাকে? ভালো থাকার জন্য় বললেন?
দেবযানী: এটা ছাড়া আমার আর কী বলার আছে।
কীভাবে দিন কাটছে আপনার? কিছু বলেননি দেবযানী। নীরব ছিলেন।
শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কী কোনও অভিযোগ আছে?
দেবযানী : আমার মা অসুস্থ। আমি এসেছি। আজকের দিনটা আমায় ছেড়ে দিন।
আপনাকে কি কারোর নাম বলানোর জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে?
দেবযানী বলেন, মা অসুস্থ, দেখতে এসেছি। এই ধরনের প্রশ্ন করে বিব্রত করবেন না।
এরপর দ্রুত হেঁটে প্রিজন ভ্য়ানে উঠে পড়েন তিনি। ২০১৩ সালের ২২ এপ্রিল কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল দেবযানীকে। গ্রেফতার হয়েছিলেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনও। তারপর থেকেই টানা জেলবাস। রবিবার দেবযানী যখন বাড়ি থেকে বের হন তখন অঝোরে বৃষ্টি হচ্ছিল। চারপাশে প্রতিবেশীরাও ভিড় জমিয়েছিলেন। তবে এতসব কিছুর পরেও সারদাকাণ্ডে বঞ্চিতদের দাবি, আর কবে এই প্রতারণার শাস্তি মিলবে?