মঙ্গলবার, মন্ত্রী পরেশ অধিকারী মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে চাকরি পেয়েছে কিনা তা জানতে চান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এজলাসের মধ্যেই এসএসসি চেয়ারম্যান অথবা সচিবকে ফোন করে তথ্য জানাতে বললেন এসএসসি আইনজীবীকে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৫ মিনিট সময় দেন এসএসসি কে, মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী চাকরি পেয়েছে কিনা জানাতে। কিন্তু তথ্য জানাতে পারলেন না আইনজীবী। এর পর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এসএসসি চেয়ারম্যান ও সচিবকে জরুরি ভিত্তিতে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত করে তথ্য চাইলেন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "মিঃ চেয়ারম্যান, গুরুতর অভিযোগ এসএসসি বিরুদ্ধে। মেধাতালিকা জালিয়াতি করে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ। অঙ্কিতা অধিকারী, মন্ত্রীর মেয়ে চাকরি পেয়েছেন ইন্দিরা গার্লস হাইস্কুলে অনিয়মের মেধাতালিকা থেকে। ২৯ মার্চ এসএসসিকে মামলার তথ্য দিলেও, আইনজীবী কোনও উত্তর দিতে ব্যর্থ, তাই আপনার কাছেই তথ্য চাইছি। মেধাতালিকা, অঙ্কিতার নম্বর বিভাজন সহ তালিকা আদালত জানতে চায়।"
advertisement
আরও পড়ুন - মাটির তলায় লুকিয়ে আছে ২২টি কুঠুরি! তাজমহল নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ করল এএসআই
এসএসসি চেয়ারম্যান জানালেন আদালতকে, "স্যার, প্রোগ্রাম অফিসারের থেকে সমস্ত তথ্য চেয়েছি। ৫ মিনিট সময় দিন।" এর পর এসএসসি চেয়ারম্যান যে তথ্য দেন তাতে চোখ কপালে ওঠার জোগা়ড়। চেয়ারম্যান আদালতকে বলেন, এসএসসি চেয়ারম্যান জানালেন, স্যার, অঙ্কিতা অধিকারী রাস্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে ৩১/৮/২০১৮, ইন্দিরা গার্লস হাইস্কুলে নিয়োগ সুপারিশ করে এসএসসি। অঙ্কিতা মোট নম্বর পায় ৬১, ৩১ অ্যাকাডেমিক, ৩০ পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর। বিচারপতি তার পর জানতে চান, মামলাকারী প্রাপ্ত নম্বর কত? চেয়ারম্যান জানান, মামলাকারী ববিতা সরকারের প্রাপ্ত মোট নম্বর ৭৭, এসএসসি প্যানেল ২১। এর মধ্যে ৩৩ অ্যাাডেমিক, ৩৬ বিষয় ও ৮ নম্বর ইন্টারভিউয়ে।
আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে ফিরহাদের নয়া দাবি, ক্ষোভে ফুঁসছে বিজেপি
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এর পরেই বলেন, মিঃ চেয়ারম্যান, তাঁর মানে পার্সোনালিটি টেস্টে না বসেই চাকরি পেয়েছেন অঙ্কিতা অধিকারী। আদালতের কাছে সেই অভিযোগ স্বীকার করে নেন এসএসসি চেয়ারম্যান। ফলে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগেও এ বার দূর্নীতির বড় অভিযোগ সামনে এল।
অর্ণব হাজরা