দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ৯৫০০ বেশি বাসিন্দাকে সরানো হয়েছে এখনও পর্যন্ত। পাথরপ্রতিমা, গোসাবা অঞ্চলের বাসিন্দাদেরই মূলত আশ্রয় শিবিরে স্থান দেওয়া হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের ১৬ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ জায়গায় সরানো হয়েছে। এই জেলার রামনগর ১, রামনগর ২, কন্টাই এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৩০ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরানো হলেও আজও বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরানো হবে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। ৩০ হাজার বাসিন্দাকে সরানোর রিপোর্ট নবান্নে এসেছে তিন জেলা মিলিয়ে।
advertisement
আরও পড়ুন: বিজেপি নেতাদের বাড়িতে তৃণমূল নেতারা! নন্দীগ্রামে গেরুয়া শিবিরে তুলকালাম কাণ্ড
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সমুদ্র এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে জেলাশাসকের পরামর্শ, "আতঙ্ক নয়, সতর্ক থাকুন!" দিঘা, শঙ্করপুর, মান্দারমণি, রামনগর সহ উপকূল অঞ্চলের ১৪ হাজার মানুষকে আশ্রয় শিবিরে তুলে আনা হয়েছে বলেও জানান জেলাশাসক। আবহাওয়া সতর্কতায় পূর্ব মেদিনীপুরের নদী উপকূল অঞ্চলেও সমান সক্রিয় পুলিশ প্রশাসন। আজও সকাল থেকে মাইকিং এবং টহলদারি চলছে নদী তীরবর্তী এলাকায়।
আরও পড়ুন: চাকরি নিয়োগ দুর্নীতির ১ নম্বর কিংপিন কে? শুভেন্দু অধিকারীর দাবিতে তোলপাড় বাংলা
ঝুঁকি এড়াতে হলদিয়ার টাউনশিপ থেকে নন্দীগ্রাম নদীপথে খেয়া পারাপারের ফেরি সার্ভিস বন্ধ করা হয়েছে। একইসঙ্গে জেলার অন্যান্য খেয়াঘাটেও ফেরি চলাচল বন্ধ করেছে প্রশাসন। কাঁচাবাড়ির বাসিন্দাদের প্রস্তুত থাকতে বলা হচ্ছে, পরিস্থিতির প্রয়োজনে উঁচু পাকা আস্তানায় যাওয়ার জন্য। বিপদ এড়াতে ইতিমধ্যেই ১৪ হাজার কাঁচাবাড়ির বাসিন্দাকে আশ্রয় শিবিরে তুলে আনা হয়েছে বলে জেলাশাসক পুর্নেন্দু মাজি জানিয়েছেন। প্রয়োজনে আরও মানুষকে আশ্রয় শিবিরে তুলে আনার জন্য প্রশাসন প্রস্তুত আছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। তবে মানুষকে আতংকিত না হওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।